সিলেটে অজ্ঞান অবস্থায় দুই পরিবারের ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি

সিলেটে দুই পরিবারের ৯ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন বড়শালা এলাকার সিলেট ক্লাব সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। 

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল জাকির ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট ক্লাবের পেছনের একটি বাড়ির বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন। সকালে তাদের পরিবারের দুইজন এসে স্থানীয়দের ডাকাডাকি করলে তারা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নিগার সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার একটু আগে (বিকেল ৪টা) জ্ঞান ফিরেছে। গতকাল রাত ১২টার দিকে আমরা প্রতিদিনের মতো খেয়ে ঘুমাতে যাই। হঠাৎ করে আমার মায়ের শরীর খারাপ হওয়াতে আমরা ধরে নিয়েছিলাম তিনি হাইপ্রেশারে ভুগছেন। পরে আমরা তার মাথায় পানি ঢেলে দেই। এরপর কিছুটা সুস্থবোধ করলে আমরা তাকে তার কক্ষে ঘুমাতে দেই। এ সময় আমাদেরও শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। রাত ২টায় আমরা বুঝতে পারি আমাদের রান্নাঘরের জানালা কে যেন কাটছে। এ সময় আমার মা চিৎকার শুরু করলে সেখানে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়।

পরে আমরা পাশের ঘরের বাসিন্দাদের ডাকাডাকি করলে তাদের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। অনেকক্ষণ পর একজন দরজা খুলে দিলেও তিনি কিছু বলতে পারছিলেন না। এ সময় আমরা দেখি তাদের ঘরের গ্রিল কাটা। পরবর্তীতে ভোরে আমাদের পরিবারের একজন স্থানীয়দের মাধ্যমে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল জাকির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা কিছু আলামত জব্দ করেছি। এখানে একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে বুঝা যাচ্ছে। আমরা অধিকতর তদন্ত করছি। তবে ধারণা করছি খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন