সুনামগঞ্জে বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ পূনঃ তদন্তের নির্দেশ

সুনামগঞ্জে বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ পূনঃ তদন্তের নির্দেশ
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)+ স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম – দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলা পূনঃ তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক)কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ১৯ শে জানুয়ারী জেলা প দায়রা জজ জাকিয়া সুলতানা এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও গাফিলতির কারনে জেলার লাখ লাখ কৃষক এর অভিযোগ এর পরিপেক্ষিতে
সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তৎকালীন সাধারন সম্পাদক আব্দুল হক ২০১৭ সালের ৩ রা আগষ্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এট সচিব শাহ কামাল, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ১৫ জন কর্মকর্তা, ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ এর ৪৬ ৪৬ জন ঠিকাদার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) এর৭৮ জন সদস্য সহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের তৎকালীন বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মামলা আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর এই প্রতিবেদন এর বিরুদ্ধে বাদী নারাজি আবেদন করলে মামলাটি পুনঃরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।আদালত আমার নারাজি পিটিশন গ্রহণ করেছেন এবং মালাটি পূনঃ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বেড়িবাঁধ এর কাজে অনিয়ম -দুর্নীতি হওয়ায় সুনামগঞ্জে আগামা বন্যায় ১৫৪ টি হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে যায়। এতে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম -দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।এরপর দুদক ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল হাওরের ফসলহানি ও বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের তদন্তে দুদক এর পরিচালক বেলাল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।যার পরিপেক্ষিতে পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিনকে প্রত্যাহার এবং  অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (উত্তর – পূর্বাঞ্চল) আব্দুল হাই, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ফসলহানির ঘটনায় একই বছরের ৩০ শে মে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুদকের অনুসন্ধান শেষে এই বছরের ২ জুলাই মামলা হয়।মামলায় পাউবোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ঠিকাদারদের সাথে অবৈধ যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়।আর ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন না করে কৃষক কুলের ক্ষতি সাধনের অভিযোগ আনা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন