দোহারে জমি দখলের অভিযোগ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি

দোহারে জমি দখলের অভিযোগ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি
নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকায় জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
দেওভোগ এলাকার ইব্রাহিম খান ও তার দুই ছেলে ইসমাইল খান ও ইসহাক খানের নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে  স্থানীয় ছয়ফল খানের ছেলে আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,  ইব্রাহিম খানের বাড়ির সাথে প্রায় ৫৩শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন আবুল হোসেন। কিন্তু আবুল হোসেন ৬৬ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখেছে।  বাকি জায়গার মালিক ইব্রাহীম খানের দুই ছেলে। একাধিক বার জমির কাগজ নিয়ে মিমাংসার জন্য বসতে চাইলেও আবুল হোসেন এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় চেয়ারম্যান চারবার লিখিত নোটিশ দেয়ার পরও আবুল হোসেন তার কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে পারেননি ইউনিয়ন পরিষদে।
ইব্রাহিম খানের পরিবারের সদস্যরা জানান মিমাংসার জন্য না বসে আরো উল্টো মারধরের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কোর্টে মামলা করছে আবুল হোসেন।
তবে সরজমিনে গিয়ে মারামারি ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। আরো জানা যায় স্ত্রীকে দিয়ে জমি বিক্রি করিয়ে উল্টো কোর্টে পিটিশন মামলা করেছে আবুল হোসেন। আবুল হোসেনের স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা।
ইব্রাহীম খানের ছেলে ইসমাঈল খান বলেন, আবুল হোসেন উওর পাশ থেকে ৫৩ শতাংশ জায়গা পাবে কিন্তু সে আমাদের জায়গা সহ ৬৬ শতাংশ জায়গা দখল করে রেখেছে। একাধিকবার চেয়ারম্যান কাগজপত্র নিয়ে উভয়পক্ষকে বসার তারিখ দিলে আমরা প্রত্যেকবার কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়েছি কিন্তু আবুল হোসেন একবারও আসেনি। আমাদের নামে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানানঃ আমি কারো জায়গা দখল করিনি। এই জমি আমি কিনেছি। চেয়ারম্যানের নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে  তিনি বলেন, আমিও নোটিশ করেছি। আর তাতে বলেছি এই পুরো জায়গার মালিক ১১জন। সবাইকে নিয়ে বসলে আমিও বসবো।
মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ূব আলী জানান, আমি একাধিক বার লিখিত নোটিশ করেছি আবুল হোসনকে। কিন্তু সে আসেনি। জমির সিমানা নির্ধারনের তারিখও দেয়া হয়েছিলো তবুও আবুল হোসেন আসেনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন