সাভারে হত্যার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করলো বৃদ্ধ

সাভারে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শাহালম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা ওই বৃদ্ধকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সোমবার সকাল ১১ টায় সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা পুকুরপাড় মহল্লার স্বপন মিয়ার ভাড়া বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক শাহালম গাইবান্ধা সদর থানার রাধা কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে। সে সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা মহল্লার আইয়ুব আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি মার্কেটে নৈশ প্রহরীর কাজ করতো।

ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, সে গ্রামের বাড়িতে স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। গত ৯ দিন আগে ঝিনাইদহের মহেষপুর গ্রামের বাড়ি থেকে সাভারের গেন্ডা এলাকায় ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার সকালেই তার ভাবি পোশাক কারখানায় চাকুরিতে চলে যায়। এরপর সকাল ১১ টার দিকে তার ভাই স্থানীয় গেন্ডা বাজারে গেলে সে বাড়িতে একাই ছিলো। এসময় নৈশ প্রহরী শাহালম টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে বাড়ির মূল ফটক খুলতে বলে। তার কথামতো ওই কিশোরী সদর দরজা খুলে দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। পরে ওই নৈশপ্রহরী সদর দরজা বন্ধ করে কিশোরীর সাথে সাথে তার রুমের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এসময় ওই কিশোরী নৈশপ্রহরী শাহালমকে রুমের ভিতরে ঢুকতে বাঁধা দিলে সে কিশোরীর গলা চেপে ধরে। একপর্যায়ে ঘরের ভিতর ঢুকে কিশোরীকে খাটের উপর ফেলে দিয়ে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চলে যায়।

পরে দুপুরের খাবার বিরতীর সময় ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাবী কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরলে তাকে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ধর্ষক শাহালমকে আটক করে উত্তম মাধ্যম দেয় উত্তেজিত জনতা। বিষয়টি জানাজানি হলে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ডেকে ওই ধর্ষককে আইনের হাতে তুলে দেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, গেন্ডা পুকুরপাড় এলাকার স্বপন মিয়ার বাড়িতে প্রায়ই দিনে-রাতে মাদক সেবন ও জুয়া খেলাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড হয়ে থাকে। এ কারণে ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত নৈশ প্রহরী শাহালমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment