ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে আত্মবিশ্বাসী নেইমার

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে প্রত্যয়ী নেইমার। ফ্রেঞ্চ ক্লাবটির হয়ে সেরা সময় পার করছেন বলেও জানান তিনি। বায়ার্ন মিউনিখ শক্তিশালী দল হলেও, ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের এতোটা কাছে এসে আর পথ হারাতে চান না ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার।

সত্যিকারের বীরেরা নাকি জবাব দেয় কাজে। তাহলে নেইমারও নিজেকে বীর ভাবতে পারেন। ট্র্যান্সফার মানির রেকর্ড গড়ে হুট করে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেয়ায় ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছিলো। শুধু অর্থের কারণেই ফ্রান্সে পাড়ি জমিয়েছেন, সমালোচকরা ছাড়েননি এমন কথা শোনাতেও। কিন্তু, সেই পিএসজিই যখন নেইমারের হাত ধরে প্রথমবারের মতো উঠলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে, সমালোচকদের মুখের দিকে তখন যেনো তাকানো দায়।

অবশ্য নেইমার ভাবেন না ওসব নিয়ে। মন পড়ে আছে লিসবনের ফাইনালে। সাবেক ক্লাব বার্সেলোনাকে লজ্জায় ডোবানো বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জাদুকরী কিছুর অপেক্ষায় ব্রাজিলিয়ান তারকা।

নেইমার বলেন, ‘পিএসজি সেমিতে দলের পারফরম্যান্স খুব ভালো ছিলো। কিন্তু, সেমিফাইনাল জয়ীরা স্মরণীয় হয়ে থাকে না। তাই সেটা নিয়ে ভাবছি না। বায়ার্ন আমাদের পরীক্ষায় ফেলবে। আমরাও প্রস্তুত। ওদের দলটা শক্তিশালী। আমরাও ভালো অবস্থায় আছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, প্যারিসে আসার পর এখনই সবচেয়ে ভালো সময়টা পার করছি।’

দলের সেরা খেলোয়াড়টি সুখে আছেন। এই তো চাই পিএসজির। ফাইনালের মঞ্চে নেইমারও যে ভুলে থাকতে চান পৃথিবীর বাকি সব।

নেইমার আরো বলেন, ‘পিএসজি দলটাকে সবসময় এখানেই দেখতে চাই। পিএসজির প্রজেক্ট বড়। ইউরোপের সেরা ক্লাব হওয়াই লক্ষ্য। সে লক্ষ্য অর্জনে এতোটা কাছাকাছি আগে আসা হয়নি। তাই সবাইকে সর্বোচ্চ মনোযোগী হতে হবে।’

মেসি-রোনালদোর যুগে জন্ম নেয়া অন্য সব ফুটবলার যেন অভাগা। যে যাই করুক না কেনো, ঢাকা পড়ে এ দুই তারকার ছায়ায়। ব্যালন ডি অরের মঞ্চটা এর স্পষ্ট প্রমাণ। সেই মঞ্চে নেইমারকে খুঁজে ফেরেন ভক্তরা।

পিএসজি তারকা নেইমার জানান, ‘গেলো ১০ বছরে মেসি আর রোনালদো একেবারে ভিনগ্রহের পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। সে জন্যই ব্যালন ডি’অরে ওদের এমন আধিপত্য ছিলো। এ পুরস্কার মর্যাদার। কিন্তু, দলের হয়ে ট্রফি জয় ছাড়া সে স্বীকৃতি মিলবে না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়টা বিশেষ কিছু। পিএসজির হয়ে সেটা করতে পারলে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আর সেটার জন্যই এখানে এসেছি আমি।’

আর একটা দরজা পেরোতে পারলেই ইউরোপের মুকুটটা পেয়ে যাবেন। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল রাজপুত্র সে আবেশেই আছেন আচ্ছন্ন হয়ে।

আপনি আরও পড়তে পারেন