ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। শনিবারের এ পরীক্ষায় দুই প্রার্থীর খাতায় টেম্পারিং করে নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হকের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অবহিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে বিদ্যালয়টির অভিভাবক ফোরাম।
অভিযোগে জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ নভেম্বর) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় দুইজন প্রার্থীর নম্বর খাতায় টেম্পারিং করে বাড়িয়ে দেন শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হক।
অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। তিনি বিষয়টি পরীক্ষা করে নম্বর কমানোর ব্যাপারে প্রমাণ পান।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নম্বর বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। যে প্রার্থীর নম্বর বাড়ানো হয়েছিল তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এখন কোনও সমস্যা নেই।’
এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের কোনও বিধান না থাকলেও তড়িঘড়ি করে কেনও অদৃশ্য পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অভিভাবক ফোরাম।
ফোরামের সভাপতি আব্দুর রহিম হওলাদার (রানা) বলেন, ‘অর্গানোগ্রামে না থাকলেও স্বজনপ্রীতি করে খাতা টেম্পারিং করা হয়েছে।’
খাতা টেম্পারিংএর বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হককে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
পরে কথা বলতে পারবেন না জানিয়ে তিনি একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠান।