কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে আলমডাঙ্গার শহরের বাবু পাড়ার বাসিন্দা আবু তালেব মাস্টারের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ছাত্রনেতা দিপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরা পার্সন হারুন অর রশিদের ওপর হামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির করে জমি রেজিস্ট্রি করে দখলের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার ৪ ডিসেম্বর (শুক্রবার) কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
তারই প্রতিবাদে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন কুষ্টিয়া শহর জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহম্মেদের নেতৃত্বে তান্ডব চলে কুষ্টিয়া শহর জুড়ে। সেই সময়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকা থেকে জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহাম্মেদের নেতৃত্বে দিপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরা পার্সন হারুন অর রশিদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলায় দেবেশ চন্দ্র সরকার ও হারুন অর রশিদ গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনায় রোববার (৬ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া মডেল থানায় দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র বাদী হয়ে সাদ আহম্মেদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ইয়াসির আরাফাত তুষার সভাপতি ও সাদ আহাম্মেদকে সাধারণ সম্পাদক করে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করেন। এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।