অতিরিক্ত কম ওজন শুধু শারীরিক সৌন্দর্যকেই ম্লান করে দেয় না। কখনো এটি রোগেরও কারণ হয়। কম ওজনের কারণে অপুষ্টিজনিত রোগ দেখা দিতে পারে শরীরে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়তে পারে। তাই একদিকে সুঠাম দেহ পেতে এবং অন্যদিকে সুস্থ থাকতে প্রয়োজনীয় ওজন বাড়ানো জরুরি।
ওজন কমানো যত সহজ— ওজন বাড়ানো কিন্তু ততটা সহজ নয়। তবে হাদিসে উল্লেখিত একটি খাবার বা আমলের কথা আমরা উল্লেখ করব। এটি করলে আশা করা যায়— আল্লাহ তাআলা সুস্বাস্থ্য ও সুঠাম দেহ দান করবেন।
মোটা হতে যে খাবার খাবেন
শরিয়তে মোটা হওয়ার উপায় ‘খেজুরের সাথে শসা খাওয়া’। এই সম্পর্কে দুইটি হাদিস দেখুন—
এক. আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে পাঠাবেন। এজন্য তিনি অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। শেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা বা খিরা খাওয়াতে থাকলে— আমি তাতে উত্তমভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হই। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৩৯০৩)
দুই. আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমার মা আমাকে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সংসারে পাঠাতে চাচ্ছিলেন, তাই আমার দৈহিক পরিপুষ্টির জন্য চিকিৎসা করাতেন। কিন্তু তা কোনো উপকারে এলো না। অবশেষে আমি তাজা খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে খেলাম এবং উত্তমরুপে দৈহিক পরিপুষ্টি লাভ করলাম।’ (আবু দাউদ,হাদিস : ৩৩২৪)
কারও প্রশ্ন হতে পারে— চিকিৎসকরা তো স্বাস্থ্য কমাতে শসা খাওয়ার নির্দেশ দেয়? এর উত্তর হলো- হাদিসে খেজুর আর শসা একসঙ্গে খাওয়ার কথা এসেছে। এটা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সুন্নতও বটে। আবদুল্লাহ ইবনু জাফর (রা.) বর্ণনা করেন যে, নবী (সা.) খেজুরের সঙ্গে একত্রে শসা খেতেন। (সহিহ ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩২৫)
শরীর সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখতে— খেজুর আর শসা স্বাভাবিকভাবে খাওয়া যেতে পারে। এর জন্য বিশেষ তেমন কোনো নিয়ম ও পদ্ধতি আছে বলে আমাদের জানা নাই।