কোটচাঁদপুরে রিয়াদ হত্যাকারী আসামী আটক

কোটচাঁদপুরে রিয়াদ হত্যাকারী আসামী আটক

শেখ শফিউল আলম লুলু,ঝিনাইদহ;

মায়ের অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ধারন এবং সেটি দেখিয়ে
ব্লাক মেইল করাই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নৃশংস ভাবে খুন
করা হয় রিয়াদকে। কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ হত্যার ১০ ঘন্টার
মধ্যেই প্রধান আসামী মিলন দাশ (২১) কে আটক করলে, বেরিয়ে
আসে হত্যার রহস্য ও লোমহর্ষক কাহিনী। বাগডাঙ্গা রাস্তা পাড়া
বাড়ির পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কোটচাঁদপুর সার্কেল) মোহাইমিনুল
ইসলাম জানান, আটক মিলন দাশের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উপজেলার
বাগডাঙ্গা গ্রামের সলেমান আমিনের ছেলে রিয়াদ হোসেন
খুনের পরিকল্পনাকারী ও খুনের প্রধান আসামী। বুধবার রাতে সে
বাগডাঙ্গা গ্রামের ঝিঁনুর আম বাগানের পাশে রিয়াদকে
নৃশংস ভাবে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে কপোতাক্ষ নদে ফেলে
দেয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের রহস্য ও লোমহর্ষক বর্ণনা
দিয়েছেন আসামী মিলন দাশ।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আসামী মিলন দাশ ও ভিকটিম রিয়াদ
খাঁন এক সঙ্গে মাদক সেবন করে। সেই সুবাদে আসামীর মা
অঞ্জলি দাশের সঙ্গে জৈনক এক ব্যাক্তির অনৈতিক ও অসামাজিক
একটি ভিডিও ধারন করে রিয়াদ খাঁন। দীর্ঘদিন ধরে সেই ভিডিও
দেখে আসামী মিলনকে ব্লাক মেইল করে আসছিল রিয়াদ। মিলন সে
ভিডিওটি রিয়াদকে ডিলেট করতে বলে। এরপরও ভিকটিম সেই
ভিডিওটি ডিলেট না করে তাকে নানা ভাবে হয়রানি করছিল। এতে
সে রিয়াদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উচিত শিক্ষা দেওয়ার কথা ভাবে। যার
ফলশ্রতিতে বুধবার রাতে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এঘটনায় নিহতের পিতা সলেমান খান বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর
থানায় অজ্ঞাতনামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-৪,
২২/১২/২১। পরে পুলিশ প্রযুক্তির সাহায্যে হত্যার পরিকল্পনাকারী ও মূল

আসমী মিলন দাশকে আটক করে। আটক মিলন দাশ উপজেলার
বাগডাঙ্গা গ্রামের রাস্তা পাড়ার মৃত মুকুল দাশের ছেলে, সে
পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।

আপনি আরও পড়তে পারেন