বাগাতিপাড়ায় স্কুল মাঠে নির্মাণ সামগ্রী ॥ ধুকছে শিক্ষার্থীরা

নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ‘স্বরূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ মাঠ
দখল করে রাখা হয়েছে রাস্তার কাজের নির্মাণসামগ্রী। নির্মাণসামগ্রীর
ধুলাবালি আর কালো ধোঁয়া, বিকট শব্দ এবং বিটুমিনের তীব্র গন্ধে ক্লাস করা
কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। তীব্র কালো ধোঁয়ায় ওই এলাকা
আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। পর্দা টানিয়ে ক্লাশ নেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অধীনে উপজেলার আজগর
মোড় থেকে স্বরূপপুর স্কুল পর্যন্ত পৌনে তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ
চলছে। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৭ লাখ টাকা। কাজটি পেয়েছেন নাটোরের
‘সেতু এন্টারপ্রাইজ’। তবে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছেন এমএম
ট্রেডার্সের ঠিকাদার মীর্জা খোকন। রাস্তার কাজ শুরুর কয়েকদিন দিন আগ
থেকে বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মাণসামগ্রী পাথরের কুচি, বিটুমিনের ড্রাম,
প্লান্ট মেশিন রাখা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয়টি খোলা রয়েছে। আর বিদ্যালয়ের সামনে কাপড়ের
পর্দা টানিয়ে পাঠদান করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সামনে মাঠে পাথরের কুচি,
বিটুমিনের ড্রাম ও পাথর-বালু মিশ্রণের জন্য প্লান্ট মেশিন বসানো আছে।
বিকট শব্দে চলছে সেটি। গার্মেন্টের ঝুট জ্বালিয়ে বিটুমিন গলানো হচ্ছে।
তীব্র কালো ধোঁয়ায় ওই এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে আছে। নির্মাণসামগ্রীর
ধুলাবালি আর কালো ধোঁয়া এবং বিটুমিনের তীব্র গন্ধে ক্লাস করা কষ্টকর হয়ে
দাঁড়িয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। গত ছয়দিন থেকে চলছে তাদের এ কর্মযজ্ঞ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিনা পারভীন বলেন, আগুনের প্রচন্ড তাপ, কালো ধোঁয়া ও তীব্র
গন্ধ এবং মেশিনের শব্দে স্কুলে থাকায় কষ্টকর হয়ে উঠেছে। পাঠদানেও মনোযোগ
পাওয়া যাচ্ছে না।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, শব্দ আর ধোঁয়ায় স্কুলে থাকাই কষ্টকর। ক্লাস উপযোগী
পরিবেশ না থাকায় অনেকে স্কুলে এসেই বাড়ি চলে যাচ্ছে।
কাজটির বাস্তবায়নকারী সাব-ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএম ট্রেড্রার্স এর পক্ষে
কাজটি দেখাশোনা করছেন আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, কোনো জায়গা না
পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই বিদ্যালয়ের মাঠে রাস্তার কাজের
নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। আর কয়েকদিন পর কাজ শেষ হয়ে যাবে। এলাকার
উন্নয়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। সমস্যা একটু হতেই পারে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবিউল আলম রনি বলেন, এলাকার উন্নয়নের
স্বার্থে শিক্ষক-অভিভাবকদের সাথে আলাপ করে মাত্র কয়েকদিনের জন্য রাস্তার এ কাজ
চলবে ভেবে তিনি এ সব মালামাল রাখতে অনুমতি দিয়েছেন। এর বিনিময়ে তাদের
কাছ থেকে কোনো ভাড়া নেয়া হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment