মানুষের জীবনের চলার পথাটা খুবই বিচিত্র। কখনো সুখের সময় কখনো দুঃখের। আর এই চলার পথে কাউকে চাই আর নাই বা চাই জীবনসঙ্গীকে সবারই চাই। যার হাতে হাত রেখে কাটানো যাবে পুরোটা জীবন। সবাই চায় তার সাথে এমন একজন মানুষের পরিচয় হোক যে তার না বলা কথাগুলো না বলতেই বুঝতে পারবে। আর আপনার মনে হবে এই আপনার জন্য সঠিক জীবনসঙ্গী।
পছন্দে মিল :
পছন্দে মিল না থাকলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ধরুন আপনি কোনো একটা জিনিস খুব পছন্দ করেন হতে পারে তা খাবার বা ঘর গুছানোর সামগ্রী। যদি আপনার সঙ্গীর তা পছন্দ না হয় তবে তা হয়তো আপনার আর কেনা হয়ে উঠবে না। ফলে মন খারাপ হয়ে যাবে আপনার। কিন্তু মনের মিল হলে খুব সহজেই দু জন মিলে ঝটপট সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ সেরে ফেলতে পারবেন।
কাজকে গুরুত্ব দেওয়া :
অনেকেই ভাবে হয়তো ব্যস্ততা দেখানোর জন্য কাজের বাহানা বানাচ্ছে। আবার অনেকে কাজের মাঝেই ফোন করে বা নিজে উপস্থিত হয়ে যান। যা আপনার জীবনসঙ্গীর কাছে পছন্দের নাও হয়ে পারে। কিন্তু যাদের মধ্য বোঝাপড়া ভালো তারা একে অন্যর কাজে কখনো ব্যঘাত ঘটায় না। একে অন্যকে কাজ করার উৎসাহ দেয়।
আপনার মন ভালো না খারাপ তা আন্দাজ করে বলে ফেলা :
অনেকের সামনে মুখভার করে বসে থাকলেও তাদের চোখে ধরা পড়ে না। তাদের মুখ ফুটে বলতে হয় কেন মন খারাপ আর তার যে মন খারাপ। কিন্তু যাদের মধ্য আসলেই ভালোবাসা আছে তারা আন্দাজ করে বলে ফেলতে পারেন। আর যে এমন আন্দাজ করে বলতে পারে সেই আপনার জন্য উপযুক্ত সঙ্গী।
যে আপনাকে ভালোবাসে :
আপনার টাকা পয়সা কে বা আপনার নামকে নয় যে আপনাকে ভালোবাসে সেই আপনার জন্য উপযুক্ত জীবনসঙ্গী।
আপনাকে পরিবর্তিত হতে দেবে না :
অনেকেই আছে তার জীবন সঙ্গীকে তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গিতে সাজাতে চায়। তার পছন্দে দেখতে চায়। কিন্তু সেই মানুষটির ও যে নিজের ইচ্ছা আছে তা যদি কেউ পাত্তা না দেউ তাহলে বুঝে নেবেন সে আপনার জন্য উপযুক্ত নয়। এমন কাউকে জীবনসঙ্গী করুন যে আপনার পরিবর্তিত রূপকে ভালোবাসে না আপনাকে ভালোবাসে।