চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এলাকার এক প্রধান শিক্ষিকা গত ৮ আগস্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রশ্ন আপলোড ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে আসেন। ট্রেনিং শেষে শিক্ষিকা একটি সমস্যা নিয়ে প্রথমে উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে কামাল হোসেনের পরামর্শে প্রোগ্রামার হাবিবুর রহমানের কক্ষে যান। হাবিবুর রহমানকে ওই শিক্ষিকা সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। এক পর্যায়ে তার হাত চেপে ধরেন। এ সময় হাবিবুর রহমান শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেন এবং রাতে তার বাসায় থাকার প্রস্তাব দেন।
এক পর্যায়ে কৌশলে ওই শিক্ষিকার হাবিবুর রহমানের কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোর শিক্ষা বোর্ডে। অভিযুক্ত প্রোগ্রামার হাবিবুর রহমানের বিচার চেয়ে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন চুয়াডাঙ্গার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মজিদ বলেন, মঙ্গলবার বিকালে ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি স্পর্শকাতর। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে শিক্ষা বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা ঘটনা চেপে যাওয়ায় তার কোনো শাস্তি হয়নি।