সাফের আসরে ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে গত আগস্টে ভুটানকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিল মারিয়া মান্দা-আঁখি খাতুনরা। অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কাজটা আবার করে দেখানোর সুযোগ এবার সানজিদা-মৌসুমীদের সামনে। কাজটা শুধু গোল দিয়ে এগিয়ে যাওয়া, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া। সেই কাজটা মাঠে নেমেই করে ফেলে অনূর্ধ্ব-১৮ মেয়েরা। গোল করে ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায়। এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে মাঠ ছাড়ে মেয়েরা।
প্রথমবারের মতো এই আসরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বাংলাদেশের। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৫ আসরের ফাইনালে হারের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ারও সুযোগ ছোটনের দলের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭-০ গোলের বিশাল জয় এবং নেপালকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হওয়ার মধ্যে দিয়ে সেটা আগেই জানান দিয়েছে মেয়েরা। ফাইনালে যাওয়ার বাধা কেবল স্বাগতিক ভুটান। তাতে শুরুতে সানজিদা আক্তার গোল করে দারুণ কিছুর আভাস দেন।
এরপর মনে হয়েছিল ভুটান স্বাগতিক হলেও তাদের স্রেফ উড়িয়ে দেবে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথমার্ধে দুই গোলের বেশি দিতে পারেনি তারা। দলের হয়ে প্রথমার্ধের ৪৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমী। তবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৮ দলের মেয়েরা একের পর এক আক্রমণ করে গেছে ভুটানের গোলমুখে। মেয়েদের ঠেকিয়ে রাখার কৃতিত্ব তাই ভুটানের রক্ষণভাগকে দিতে হবে।
প্রথমার্ধে বড় ব্যবধানে এগিয়ে যেতে না পারায় ভুটানের মেয়েদের সামনে হয়তো সমতা করার বা জয়ের সুযোগ থেকে যাচ্ছে। তবে পরিসংখ্যান ভরসা দিতে পারে বাংলাদেশ দল বা সমর্থকদের। অতীতে কখনোই বাংলাদেশের মেয়েদের হারাতে পারেনি ভুটান। তাদের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ হলেও ফেবারিট তাই মিসরাত জাহান মৌসুমীরা। তবে এই ভুটান মালদ্বীপকে ১৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিতে এসেছে এটাও ভুলে যাবার নয়।