হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে ভিকারুননিসায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

রোববার বেলা ১১টায় ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় তারা ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।

তাদের মতে, অরিত্রির আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনায় স্কুলটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান জিন্নাত আরা দায়ী। অথচ তাদের গ্রেফতার না করে একজন নির্দোষ শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিক্ষোভের সময় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ‘আমার মায়ের মুক্তি চাই’, ‘যাদের হাতে মানুষ গড়া, তাদের কেন হাতকড়া’, ‘শিক্ষক যদি সম্মান না পায় এমন শিক্ষার দরকার কী?’

এ ধরনের স্লোগান প্ল্যাকার্ড এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকে। এর আগে শনিবারও সকাল থেকে একই দাবিতে দিনব্যাপী আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, অরিত্রির আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবার দায়ের করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার ও অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে বরখাস্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, অরিত্রির বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নকলের অভিযোগ এনেছিল। এ জন্য অরিত্রীর মা-বাবাকে ডেকে নেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ। পরে তাদের নানাভাবে অপমানের অভিযোগ উঠে।

এই ঘটনার জেরে বাসায় এসে অরিত্রি আত্মহত্যা করেন।

অরিত্রির গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার বাবা দিলীপ কুমার সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment