brandbazaar globaire air conditioner

খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন

খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহি খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমেটির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করলেন এডহক কমেটির সভাপতি আসাদুজ্জামান। তিনি দৈনিক আগামীর সময় পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং ব্র্যান্ডবাজার ডটকমের কর্ণধার।

বৃহস্পতিবার ১৭ জুন সকালে খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করেন আসাদুজ্জামান।

এর আগে গত ৭ই জুন তিনি খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমেটির সভাপতি নির্বাচিত হন।

দায়িত্ব গ্রহনের সময় আসাদুজ্জামান বলেন, এই স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা আমার বাবা আনিস উদ্দিন আহমেদ। আমি সবসময় চেষ্টা করবো এই স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করতে। শিক্ষার পাশাপাশি মাদক থেকে সকল শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে খেলা ধুলার ব্যবস্থা করবো।

তিনি দায়িত্ব গ্রহনের প্রথম দিনেই স্কুলের জমির সংকটের কথা শুনে তা পূরনে প্রতিশ্রুতি দেন। তার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের রুমে একটি এসি ও শিক্ষক মিলায়তন রুমে একটি ৫৫” ইঞ্চি টেলিভিশন দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।

সেই সাথে আসাদুজ্জামান তার বাবা ও মার নামে ” আনিছ ও কামরুন্নাহার কল্যান ট্রাস্ট” নামে একটি কল্যান ট্রাস্ট করার ঘোষনা দেন। তিনি বলেন, এই কল্যান ট্রাস্টের মাধ্যমে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা খরচ সহ তাদের শিক্ষার মান উন্নয়নে এর অর্থ ব্যয় করা হবে। শুধু খানেপুর নয় এর আশেপাশের এলাকার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ও এই কল্যান ট্রাস্টের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে সহযোগিতা নিতে খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

আসাদুজ্জামান আরো বলেন, আমি আমাদের কমিটির মেয়াদের মধ্যে আমার প্রতিশ্রুতি পুরন সহ শিক্ষার মান উন্নয়নে শতভাগ চেষ্টা করবো এবং তা বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে মনে করছি।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বলেন, এই খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয় অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আনিস উদ্দিন আহমেদ প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা আজকে তার সুযোগ্য সন্তান কে আমাদের মাঝে পেয়েছি। আমরা আশাবাদী তিনিও তার পিতার মতেই ভুমিকা পালন করবে।

প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, আনিস উদ্দিন আহমেদ এই বিদ্যালয়ের শুধু প্রতিষ্ঠিতাই ছিলেন না, সেই সাথে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষকও ছিলেন। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে তিনি এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ তার সুযোগ্য সন্তান তিনি হাল ধরেছেন বিদ্যালয়ের। তিনিই পারবেন বিদ্যালয়কে সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে এবং উন্নয়ন অবকাঠামো বরো উন্নত করতে।

Related posts