ডিগবাজী খাওয়ার রেকর্ড নাই আমার, আবার কাউকে ডিগবাজী দেবারও নাই- ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা

ডিগবাজী খাওয়ার রেকর্ড নাই আমার, আবার কাউকে ডিগবাজী দেবারও নাই- ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা

 স্টাফ রির্পোটার :

ডিগবাজী খাওয়ার কোন রেকর্ড নাই, আবার কাউকে ডিগবাজী দেব সেই রেকর্ডও নাই আমার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা এই কথা বলেন।

ডিগবাজী খাওয়ার রেকর্ড নাই আমার, আবার কাউকে ডিগবাজী দেবারও নাই- ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁকে গুলশান এলাকা থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তার কথায় আমি গুলশানে বিভন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেই লক্ষে নিজেদের রাজনীতি অবস্থান থেকে দৃঢ় করছি। আমি নতুন একটি দলের চেয়ারম্যান আপনারা জানেন।তৃণমূলের বিএনপি নেতৃত্বে ৩১ দল জোটে এই রাজনৈতিক দলটি নতুন হিসেবে দল হিসেবে যুক্ত হয়েছে। নির্বাচনমুখী এই দেশকে সত্যিকারের অর্থে গণতান্ত্রিক দেখতে হলে আমাদের যা যা করণীয় সেটাই করব। সেই লক্ষে মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হলে আমাদের রাজনৈতিক দলের মধ্য দিয়ে তাই করব। নৌকার প্রতীক নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, এটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। যদি আমি আজকে ১৪ দলের সাথে একত্র হয়ে আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করি। সেখনে যদি ১টি প্রতিকে নির্বাচন অধীনে প্রশ্ন আসে সেই অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। যে হাতে শক্তি আছে সেই হাতকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাব। ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না নেওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, আমরা পরিবারের মাঝে কোন কোন্দল চাই না। দোহার নবাবগঞ্জে আমি ২০ বছর অনেক উন্নয়ন করছি। আপনারা জানেন আওয়ামীলীগ থেকে সালমান এফ রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তার বিরুদ্ধে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছি। সে আমার আত্মীয় তাই আমি চাচ্ছি না আমাদের মাঝে কোন কোন্দল সৃষ্টি হউক। দোহারের মানুষ আমাকে এখনো ভুলে নাই। আমি জোটের রাজনীতির মধ্যে রয়েছি এবং অনেক দল প্রতিষ্ঠিত করেছি কোনটিতে আমি চেয়ারম্যান। বি.এন.এফ দল গঠন করেছি সেখানে আমি চেয়ারম্যান। এই দল থেকেই আবুল কালাম আজাদ গুলশান থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। দুই ধরনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে নির্বাচনী জোটের পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় তবে ১৪ দল, জাতীয় পার্টিসহ আরো কয়েকটি ছোট দলকে সঙ্গে নিয়ে মহাজোট গঠন করা হবে। ওই মহাজোটে নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপি, ইসলামী ফ্রন্টসহ আরো কয়েকটি দলকে দেখা যেতে পারে। বিএনপি অংশ না নিলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তখন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সঙ্গে আসনভিত্তিক সমঝোতা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৪ দলের বাইরে যেসব দল নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের আসনে প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সম্পাদকম-লীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এ জন্য মহাজোট গঠন করে আমাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ছাড়া মহাজোটের বাইরেও কোনো কোনো দলের সঙ্গে আসনভিত্তিক সমঝোতা হতে পারে। ’ নাজমুল হুদা এবং ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদী ক্ষমতাসীন ১৪ দলে যোগ দিতে বিভিন্ন সময় জোরালো আগ্রহ দেখিয়েছেন। সে অনুযায়ী ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম চলতি বছরে জোটের একাধিক বৈঠকে বিষয়টি তোলেন। ১৪ দলের এক বৈঠকে অংশ নিয়ে ইসলামী ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা তাঁদের জোটে যোগদানের আগ্রহের কারণ এবং দলের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। কিন্তু তাঁদের জোটে নিতে ১৪ দলের শরিকরা তীব্র আপত্তি জানানোয় বিষয়টি ঝুলে যায়। তখন ১৪ দলের শরিকরা মত দেয়, আদর্শিক জোট ১৪ দলে তাদের না নিয়ে নির্বাচনকালীন জোট বা মহাজোটে নেওয়া হোক। এমন পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে নাজমুল হুদা ও সৈয়দ বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদীকে নির্বাচনকালীন জোটে নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment