আলীনূর ইসলাম মিশু
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সোলায়মানের(৯) জীবন ছিল ব্যাটারি চালিত রিকশার প্যাডেলে বাধা। মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরিক্ষা দিয়ে জীবিকানির্বাহ তাগিদে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পরে। তার মা-বাবা দুইজনেই মারা গেছেন। তারা দুই ভাই। তার ছোট ভাই ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে। তারা দুজনেই নানার বাড়ি থেকে পড়া লেখা চালিয়ে যাচ্ছে। নানার পরিবারও অস্বচ্ছলতা। ছোট ভাই সহ সংসারের ভার কাঁধে তুলে এই রিকশার প্যাডেলেই সে বেঁধে নিয়েছে জীবন।
তার এই কষ্টের জীবনযুদ্ধ জেলা প্রশাসক মো. সালাহ্ উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তোফাজ্জল হোসেনের নজরে এলে তার জীবনযুদ্ধে ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দেন। জেলা প্রশাসক মোবাইল কনফারেন্স এর মধ্য দিয়ে সোলায়মানের সাথে কথা বলে তার সকল কষ্টের কথা শুনেন। তখন তার চাওয়া পূরণের আশ্বাস দেন এবং তার পড়াশোনার জন্য প্রতি মাসে ২০০০ করে টাকা দিবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার ব্যক্তিগত ভাবে তর হাতে নগদ ৫০০০ টাকা তুলে দেন এবং তাদেরকে ঘর তৈরী করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন।
সোলায়মান বলেন, স্যাররা অনেক ভাল । তারা আমার স্বপś পূরণের কারিগর। আমার ও ছোট ভাইয়ের পড়ালেখা করার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে আমি তাদের নিকট কৃতজ্ঞ। আমি বড় হয়ে স্যারদের মত বড় হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।