brandbazaar globaire air conditioner

যে খাবার কোলেস্টেরল কমাবে

যে খাবার কোলেস্টেরল কমাবে

আমাদের শরীরের জন্য ভালো কোলেস্টেরল যেমন প্রয়োজনীয় ঠিক তেমনই বিপজ্জনক হলো খারাপ কোলেস্টেরল। এই খারাপ কোলেস্টেরল হলো রক্তে ময়লার মতো, যা শিরাগুলোকে সঙ্কুচিত করে রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃৎপিণ্ড যথেষ্ট রক্ত পায় না। ফলে এটি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ

শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তা কিছু লক্ষণের মাধ্যমে বোঝা যায়। এই লক্ষণগুলো হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা অন্য আরও অনেক বিপজ্জনক শারীরিক অবস্থা তৈরি করতে পারে। যেমন- প্রচণ্ড বুকে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, ঘাড়-চোয়ালে ব্যথা ইত্যাদি। তাই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করার জন্য খেতে পারেন এই খাবারগুলো-

ওটস

হার্ভার্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ওটস খাওয়া হলো  উচ্চ কোলেস্টেরল কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায়। সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটস রাখতে পারেন। এতে ১ থেকে ২ গ্রাম দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যাবে। ওটসের সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে তা ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে কাজ করে। শরীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এই খাবার।

ঢেঁড়স

জনপ্রিয় একটি সবজি হলো ঢেঁড়স। এটি খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করা সহজ হয়। আপনি যদি নিয়মিত বেগুন ও ঢেঁড়স খেতে পারেন তাহলে খারাপ কোলেস্টেরলের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। এই দুই খাবারেই রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার।

ফল

নিয়মিত ফল খেলে উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। নিয়মিত আপেল, আঙ্গুর, স্ট্রবেরি, সাইট্রাস জাতীয় ফল খেতে পারেন। এসব ফলে থাকে পেকটিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান হলো এক ধরণের দ্রবণীয় ফাইবার যা খারাপ কোলেস্টেল নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী।

রাজমা বা মসুর ডাল

কিডনি বিন বা রাজমা ডাল, মসুর ডাল ইত্যাদি খেলেও রক্ষা পাওয়া যায় শিরা সঙ্কুচিত হওয়া থেকে। কারণ এ ধরনের ডালের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা রক্ত থেকে দূষিত উপাদান আলাদা করে তা বের করে দেয়। তাই নিয়মিত এ ধরনের ডাল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

মাছ

ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমানোর জন্য নিয়মিত মাছ খেতে পারেন। হার্ভার্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চর্বিযুক্ত মাছ খেলে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত মাছ রাখুন খাবারের তালিকায়।

 

Related posts