brandbazaar globaire air conditioner

সিম নিবন্ধনে দ্বৈতনীতির অভিযোগ ব্যবসায়ীদের

সিম নিবন্ধনে দ্বৈতনীতির অভিযোগ ব্যবসায়ীদের

সিম নিবন্ধন

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো দ্বৈতনীতি প্রয়োগ করেছে বলেছে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ টেলি-রিচার্জ অ্যান্ড মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন। তারা সিম নিবন্ধনের কাজে নিযুক্ত নিজ নিজ কোম্পানির লোকদের একরকম চার্জ দিচ্ছে ও রি-টেলারদের অন্যরকম চার্জ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের নেতারা। সিম নিবন্ধনে কোম্পানিগুলোর কাছে নূন্যতম ৫০ টাকা কমিশন দাবি ছাড়াও সাতদফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলানায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. নুরুল হুদা। আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি হাতে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন নেতারা।

সংগঠনটির উত্থাপিত দাবিগুলো হচ্ছে- আগের দাবি অনুযায়ী প্রতি রিচার্জে শতকরা ১০ শতাংশ করে দিতে হবে, শুধু মোবাইল ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দোকানেই রিচার্জ সিম দিতে হবে, রিচার্জ সিমে কোম্পানি থেকে বাধ্যতামূলক স্টক ব্যালেন্স রাখার নিয়ম প্রত্যাহার করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব সিম রিপ্লেসমেন্টর মাধ্যমে এজেন্টদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এজেন্ট নম্বর হ্যাকিং বা ক্লোনিং কলের মাধ্যমে এজেন্টের অর্থ আত্মসাৎ হলে কোম্পানিগুলোকে দ্রুত অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে, এজেন্ট সিমগুলোকে কোম্পানির বিমার আওতায় আনতে হবে, রিচার্জ ব্যবসায়ীদের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের পুঁজি কম। অথচ মোবাইল কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সময়ে আমাদের বাধ্যতামূলকভাবে নির্দিষ্ট অংকের টাকা রাখার নির্দেশ দেয় যা অনৈতিক ও বেআইনি। এমনকি আমাদের নিজস্ব ব্যালেন্সও ব্যবহার করতে দেয় না। যদি নিজস্ব ব্যালেন্স ব্যবহার করি তাহলে কোম্পানিগুলো আমাদের সিম বন্ধ করে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিকাশ এজেন্টরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন প্রতারক চক্রের মাধ্যমে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও এজেন্ট তার ক্ষতিপূরণ পাইনি। তাই আমরা রিচার্জ ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি যেন আমরা দ্রুতই ক্ষতিপূরণ পাই।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন হুদা, সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান, মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

Related posts

Leave a Reply