ইসরাইল-ফিলিস্তিন নিয়ে মার্কিন ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন

ইসরাইল-ফিলিস্তিন নিয়ে মার্কিন ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন

ইসরাইল-ফিলিস্তিন নিয়ে মার্কিন ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রচলিত মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে বারবার বলেছেন, ‘আত্মরক্ষার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে’। কিন্তু দলের ভেতর তিনি বেশ বেকায়দায় পড়ছেন। কারণ ডেমোক্র্যাট শিবিরে এখন গাযা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনদের অবস্থা নিয়ে অনেক বেশি উদ্বেগের সুর শোনা যাচ্ছে, এবং এই পরিস্থিতির জন্য ইসরাইলকে সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে।

এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরাইল ও ফিলিস্তিন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট শিবিরে গভীর পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্ম এখন ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে অনেক সহানুভূতিশীল। আর এ পরিবর্তনের প্রতিফলন পড়ছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত জনমত জরিপকারী জন যগবি বলেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই আমেরিকাতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ক্রমাগত বাড়তে দেখছি। কিন্তু এটি তত বড় কোনো ইস্যু হয়নি,” বলেন মি যগবি। “কিন্তু এখন এটি বড় ইস্যু হয়ে উঠছে, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। এবং এর পেছনে শক্তি হচেছ অশ্বেতাঙ্গ এবং তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা এবং দলের প্রগতিশীল অংশ।”

জন যগবি বলেন,‘এই পরিবর্তন নাটকীয়, গভীর পরিবর্তন’।

জন যগবি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাট শিবিরে এখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় অশ্বেতাঙ্গ রয়েছেন যারা অন্য অশ্বেতাঙ্গদের প্রতি আচরণ নিয়ে অনেক বেশি স্পর্শকাতর। তারা ইসরাইলকে একটি আগ্রাসী শক্তি হিসাবে দেখে…তারা ইসরাইলের শুরুর দিকে ইতিহাস তেমন জানে না, কিভাবে এই রাষ্ট্র নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে গেছে তারা তা জানে না।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রজন্ম ইনতিফাদা পরবর্তী পরিস্থিতি জানে। তারা দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধের কথা জানে, তারা ইসরাইলি বোমা হামলা দেখছে এবং নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু দেখছে।’

কংগ্রেসে তরুণ, প্রগতিশীল কয়েকজন সদস্যের একটি জোট – যেটি স্কোয়াড নামে পরিচিতি পেয়েছে -, তার মধ্যে রয়েছেন মিশিগান থেকে নির্বাচিত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব এবং মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর।

এ স্কোয়াডের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত আলেকজান্ডার ওকাসিও কর্টেজ যিনি প্রাইমারিতে সিনিয়র ডেমোক্র্যাট জো ক্রাউলিকে হারিয়ে দলের টিকেট পেয়ে জিতেছেন।

জো ক্রাউলি ছিলেন ইসরাইলের কড়া একজন সমর্থক। ফলে, এখন নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাটদের ভোটারদের যে প্রোফাইল তার সাথে ৩১ বছরের পোর্টো-রিকান বংশোদ্ভূত ওকাসিও-কর্টেজ ৫৯ বছরের ক্রাউলির চেয়ে অনেক বেশি খাপ খান।

আপনি আরও পড়তে পারেন