‘এমন ঠাণ্ডা ভোট আর দেখিনি’

‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেও এমন ঠাণ্ডা ভোট আর দেখিনি। কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভোটকেন্দ্র পাহারা দিচ্ছেন কিন্তু ভোটারের দেখা নেই। ’

সোমবার সকাল ৯টায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সাপমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে বাইরে কয়েকজন ভোটার এ কথা বলেন।

এদিকে দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ির আট উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে সকাল থেকে ভোটারদের উপস্থিতি কম রয়েছে।

এদিকে সকাল ৮টার পরও কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।

সকাল সাড়ে ৯টায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি কেন্দ্র প্রায় ভোটারশূন্য।

তবে এ সময় কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভোটকেন্দ্র পাহারা দিচ্ছে। এ ছাড়া র‌্যাব ও পুলিশের টহল টিমের একটি বহর কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে।

এদিকে ভোট সুষ্ঠু করতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন। পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

মাটিরাঙ্গা সাপমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. হাশেম পাটোয়ারী জানান, ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নারী-পুরুষ সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছে।

ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি সদর ও মানিকছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মানিকছড়িতে ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।

অপর ছয় উপজেলার মধ্যে মাটিরাঙ্গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে আছেন মো. তাজুল ইসলাম। রামগড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কারবারির বিরুদ্ধে মাঠে আছেন একসময়ের জামায়াত নেতা মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক।

অন্য চার উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পাহাড়ের বিবদমান আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন নিয়ে অংশগ্রহণকারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। সে ক্ষেত্রে এ চার উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি ভোট বর্জন করলেও পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রতি উপজেলায় দুই প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন আছে। দীঘিনালা, পানছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে সেখানে আরও দুই প্লাটুন করে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।

খাগড়াছড়ির ৮ উপজেলায় ১৭৫ কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। জেলার ভোটার ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৫৪ জন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment