জগন্নাথপুরে চোর সন্দেহে দুই মহিলা সহ ৪ জন আটক

মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি,জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

জগন্নাথপুরে চোর সন্দেহে ২ নারী ও ২ শিশু কন্যাকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন জনতা। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সুত্রে জানাযায়, রবিবার (৭ই অক্টোবর) বিকালে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর সদর বাজারের অরুপ রায় নামক মুদি দোকান ব্যবসায়ীর দোকানে মৌলভী বাজার জেলা সদর উপজেলার কুসুমবাগ গ্রাম নিবাসী মোঃ লিটন মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৬) ও গাইবান্ধা জেলার ফুলসিড়ি উপজেলার টেংরাকান্দী গ্রাম নিবাসী শহিদ মিয়ার স্ত্রী সীমা বেগম (২৫) তাদের সাথে থাকা দুই শিশু কন্যা ঝুমা (৮) ও রাণী (৪)কে নিয়ে ক্রেতা সেজে তার কিনতে চায়। এ সময় ব্যবসায়ী অরুপ রায় ক্যাশ ছেড়ে তার দিতে গেলে শিশু ঝুমা ব্যবসায়ীর টাকা রাখার ক্যাশ বাক্সের কাছে যায়। তখন শব্দ পেয়ে এই ব্যবসায়ী চোর বলে চিৎকার করলে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ী সহ জনতা তাদেরকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিব-২ বলেন, চোর সন্দেহে তাদেরকে আটক করা হলেও চোর প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে জগন্নাথপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জুনেদ মিয়ার জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ওরা দীর্ঘদিন ধরে স্বামী -সন্তান সহ বিশ্বনাথ থানা এলাকায় বসবাস করে আসছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে । এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী সাজাদ মিয়া মন্তব্য করে বলেন, ওরা চোর সাবস্থ হয়নি ঠিক। কিন্তু মহিলা দ্বারা চুরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।এই রকম চুরির ঘটনা জগন্নাথপুর পৌর শহরে মাস দুই /এক আগেও ঘটেছে। যা পত্র -পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বিগত ২০১৭ সালের প্রথম দিকেও উপজেলার কলকলিয়া বাজারে দুই মহিলাকে সাথে থাকা দুই শিশু চোরকে ক্যাশ চুরির সময় হাতে নাতপ আটক করে স্থানীয় ভাবে রকমারি সাজা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।এরাও নন সিলেটী বিশ্বনাথ বাজার এলাকায় বসবাস করে বলে জানিয়েছিল। আজকের এই দুই মহিলা ও দুই শিশু কন্যা আসলে পেশাদার চোর।ওদেরকে যদি ঠিকঠাক মত জিজ্ঞাসা করা হত তাহলে ওরা যে চোর তা প্রমান হত। মহিলা বলে ছাড় দেওয়া ঠিক হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment