ডিজিটাল ব্যাবসায়ের ‘কমপ্লায়েন্স সনদ’ দেবে ই-ক্যাব

ডিজিটাল ব্যাবসায়ের ‘কমপ্লায়েন্স সনদ’ দেবে ই-ক্যাব

ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নীতিমালার মাধ্যমে ই-কমার্সের নতুন যুগের সূচনা হলো এবং দেশের বিশ কোটি জনগণ এই সুবিধা পাবে বলে মন্তব্য করেছেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

তিনি বলেন, সবাই মিলে আজকে যে ইতিহাসটা গড়লো, নীতিমালা প্রকাশ হলো, সত্যিকার অর্থে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য এটা একটা নতুন যুগের সূচনা করলো। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে যে নির্দেশনা দিতে চেষ্টা করছিলাম, আজ তারা সেটি পেয়ে গেলো। আশা করছি, তারা এই নিয়ম-কানুন মেনেই তারা ব্যবসায় করবে।

অংশীজনদের নিয়ে মঙ্গলবার ই-ক্যাব ও বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত “ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১” বিষয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় আগামীতে ই-কমার্সের নামে যেনো কোনো আইন বিরোধী ব্যবসায় পরিচালনা হতে না পারে সেজন্য ই-ক্যাবের প্রত্যেকটি সদস্য প্রতিষ্ঠানের কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট দেয়ার পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক।

তমাল বলেন, আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেকের কমপ্লায়েন্স রয়েছে কি না বিষয়টি আমরা নিজেদের তাগিদে এনসিওর করছি; এবং একটি কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেশসন দেয়ার ব্যবস্থা করবো। যদি কোনো ই-কমার্স কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাই তাহলে নিজেরা প্রতিকার করতে না পারলে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে তা পৌঁছে দিবো। আর কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নিয়মিত অন্যায় করতে থাকে তবে প্রয়োজেনে তার সদস্যপদ বাতিল করবো।

ই-ভ্যলি ও আলিশা মার্টের মতো অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে আমরা ভোক্তা অধিকার পরিষদ এবং প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু সেখান থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসে তাহলে আমরা তাদের সদস্যপদ বাতিল করা সহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো।

এ বিষয়ে ই-ক্যাবের তদন্ত বিষয়ে তিনি আরো বলেন, তদন্ত ঠিক না আমরা তাদের বিজনেস মডেল নিয়ে পর্যালোচনা করেছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষক ও ২ জন আইনজীবিকে নিয়ে গঠিত এই কমিটি প্রতিষ্ঠানটির বিজনেস মডেলের লু-ফলস অ্যানালাইসিস করেন। এরপর কিছু রি-কেমেন্ডেশন তারা দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করেছি।

আর সেসব পর্যালোচনার ভিত্তিতেই এই ডিজিটাল ব্যবসায় পরিচালনা নির্দেশনাটি তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আগের ঘটনাগুলোর সমাধান স্ব-স্ব কোম্পানি নিশ্চিত করবে। নীতিমালা বলবৎ হওয়ার পর থেকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে ই-ক্যাব।

সূত্র : digibangla.tech

আপনি আরও পড়তে পারেন