বিকাশ চন্দ্র প্রাং, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় একটি ভাসমান রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে ২৮টি ছাগল, শুকনো খাবার ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। সদর উপজেলার নওগাঁ-দুলবহাটি সড়কের পাশে তালতলির বিলে ভাসমান রেস্টুরেন্ট বুধবার সকাল ৭টার দিকে আগুন লাগে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, এরশাদের ভাসমান রেস্টুরেন্টটি কাঁঠ, টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা। তালতলী বিলে যারা ঘুরতে আসত তারা এই ভাসমান রেস্টুরেন্টে বসে সময় কাটাত। এদিন বিলের পাশে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা রেস্টুরেন্টে আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। এর পর সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়। কারো কারো ধারণা কেউ শক্রতা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে আগুন লাগার সঠিক কারণ বের করা হোক এটাই তাদের প্রত্যাশা।
ক্ষতিগ্রস্ত রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আমি ২০১৬ সালে রেস্টুরেন্টটি চালু করি। গত বছর থেকে ছাগল পালছি। রাতের বেলা ভাসমান রেস্টুরেন্টের সঙ্গে লাগানো একটি ঘরে ছাগলগুলো রাখি। আজ সকালে আমার এক প্রতিবেশী ফোন দিয়ে জানায় রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছে। আমি তাড়াহুড়ো করে গিয়ে দেখি সব কিছু পুড়ে যাচ্ছে। রেস্টুরেন্টে ২৮টি ছাগল, শুকনো খাবার ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ছিল। তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে পাহারার জন্য রাতে কেউ থাকে না। তার সুযোগে হয়তো কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কে এমনটা করেছে আমার সঠিক ধারণা নাই। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক একেএম মুরশেদ বলেন, এক ব্যক্তির ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে রওনা দেই। সেখানে পৌঁছানের আগেই রেস্টুরেন্টটি পুড়ে যায়।
যেহেতু লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে তাই আগুন লাগার বিষয়টি জানতে সময় লেগেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে।
নওগাঁ সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘ভাসমান রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। রেস্টুরেন্ট মালিক এরশাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।