নবাবগঞ্জে ভোর হলেই দেখা যায় কেরানীগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী ও সিএনজি

ঝুঁকির মাঝেও ভোরবেলা কেরানীগঞ্জ-নবাবগঞ্জ সড়কে সিএনজি চলাচল করে। সারাদেশ এখন করোনা ভাইরাসে মহামারী পরিস্থিতি ধারন করেছে৷ প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে৷ রাজধানীর ঢাকার কেরানীগঞ্জেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে৷ এমনকি ঐ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা লক ডাউন করা হয়েছে৷
কেরানীগঞ্জের পাশ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলা। কেরানীগঞ্জ থেকে ভোর হলেই সিএনজি যোগে নবাবগঞ্জ ও দোহার গামী লোকজন চলাচল করতে দেখা যায়৷ একদিকে কেরানীগঞ্জ এলাকায় করোনা সংক্রমন পাওয়া গেছে সেহেতু ঐ এলাকায় থেকে দেহার নবাবগঞ্জে লোকজন যাতায়াত করে থাকে সেক্ষেত্রে নবাবগঞ্জটাও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ৷ এমনটাই বলছেন সচেতন মহল৷
অন্যদিকে রাজধানী ঢাকা শহরেও করোনায় বেশ অাক্রান্ত হয়েছে৷ তাই নবাবগঞ্জের অনেক লোক ভোর হলেই নবাবগঞ্জ থেকে কেরানীগঞ্জ এবং বাবুবাজার ব্রিজ হেটে পার হয়ে রাজধানী শহরে প্রবেশ করে৷ অাবার ঠিক একই কায়দায় শহর থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পাড় হয়ে কদমতলী হয়ে বিভিন্ন কৌশলে শাখা রাস্তা দিয়ে নবাবগঞ্জে প্রবেশ করেন৷ ঢাকা শহর লক ডাউন থাকার পরও বিভিন্ন কায়দায় নবাবগঞ্জে পৌঁছাচ্ছেন লোকজন৷ এছাড়াও নিয়মিত যে টাকা সিএনজি ভাড়া নেওয়া থাকে তার চেয়েও তিনগুন বেশি নেওয়া হচ্ছে এখন৷ গাড়ি চলাচল না করায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাতায়াত করছেন লোকজন৷
বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৬ টা৷ নবাবগঞ্জ স্বাধীনতা ভাস্কর্যের কাছে অবস্থান করলেই দেখা যায় এসব চিত্র। যাত্রী এবং সিএনজিতে ভরপুর হয়ে যায় পুরো চৌরাস্তা। এসময় সিএনজি থামিয়ে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, কদমতলী থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছেন৷ এমনকি অনেকেই দোহারে যাওয়ার উদ্দেশ্যেও এসেছেন৷
তবে, এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, কোন সিএনজি চলাচল করে না৷ তুলশিখালী থেকে খারশুর হয়ে সব লক ডাউন করা হয়েছে৷

আপনি আরও পড়তে পারেন