নবাবগঞ্জে রাতারাতি সরকারি জায়গা দখল করে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ

নবাবগঞ্জে রাতারাতি সরকারি জায়গা দখল করে চলছে ভবন নির্মাণের কাজ

স্টাফ রিপোর্টার:ঢাকার নবাবগঞ্জের টিকরপুর এলাকায় ইছামতী নদীর পাড়ে সরকারি খাস জায়গা দখল করে ভবন নির্মানের কাজ করছেন প্রবাসী লুৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তি। 
এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, টিকরপুর স্ট্যান্ডের সামনে ছাতিয়া রোডের পাশে টিকরপুর মৌজায় জমি ক্রয় করেন লুৎফর নামের এক প্রবাসী। ক্রয়কৃত জমির পাশে ইছামতী নদী ঘেষিয়ে বেশকিছু সরকারি খাস জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের কাজ করছেন।

ঐ জায়গার পাশে রয়েছে সরকারি ঘাটলা। বর্ষা মৌসুমে এই ঘাটলায় গোসল করে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ বর্ষা আসলে এখন আর নিরাপদে গোসল করতে পারবেন না তারা৷ এই ভাবনের বাউন্ডারির দেয়ালের কারনে বর্ষা আসলে পানি চলাচলে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হবে৷ 


স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষা আসলে এই ঘাটলা দিয়ে লোকহন গোসল করে এবং বাচ্চারা সাঁতার কাটেন নদীতে৷ হঠাৎ করেন নিজ মালিকানা জমির বাহিরে ইছামতী নদীর পাড়ে সরকারি খাস দখল করে ফেলেছে৷ এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নজর দেওয়া প্রয়োজন 
জানা গেছে, মালিকানা জায়গার বাহিরে ভবনের কাজ শুরু করলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরকারি জায়গা রেখে কাজ করার কথা বললে আমলে নেয়নি লুৎফরের বড়ভাই মহিউদ্দিন।

লুৎফর প্রবাসে থাকায় তার বড়ভাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ পরিচালনা করছেন৷ ঘটনাস্থলে ছবি তুলতে গিয়ে মহিউদ্দিনকে দেখতে পেয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলপন, এটি আমার ভাইয়ের ক্রকয়ৃত জমি৷ এখানে কোন সরকারি খাস জায়গা নেই৷ আমি ভাইয়ের হয়ে কাজ বুঝে পরিচালনা করছি৷ 


আগলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবেদ হোসেন এবং ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন জানান, মালিকানার জায়গার বাহিরে যখন সরকারি খাস জায়গাসহ ভবনের কাজ শুরু করেন, তখন তাদের বারণ করলেও তারা কোন আমলে নেয়নি৷ 


উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, বিষয়টি অভিযোগ পেয়েছি৷ সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন