ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ আর গ্রুপ যে সুবিধা দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের

ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ আর গ্রুপ যে সুবিধা দিচ্ছে ব্যবসায়ীদের

একেবারে বাড়িতে রান্না করা খাবার নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক সেবা দেয় মিস কাঁটাচামচ। ফেসবুকে রয়েছে তাদের নিজেদের একটা পেজ। কিন্তু তারপরেও তারা বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। এর সত্ত্বাধিকারী মেহজাবিন ইসলাম বলছিলেন, অন্তত ৫ থেকে ৭ টা গ্রুপের সদস্য তারা। তাতে কী লাভ হচ্ছে?

মেহজাবিন ইসলাম বলছিলেন, আগে দুই মাসে ১০০টা অর্ডার পেতাম এখন একমাসে ১৫০ টা খাবারের অর্ডার পাই।

তিনি আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললেন, বিশেষ করে নারীদের যে গ্রুপ রয়েছে সেগুলোতে পোষ্ট দিচ্ছি। কারণ ফুড আইটেমের পেজে অনেকে পোষ্ট দেয় সেখানে নিজেদের সার্ভিসের কথা অনেকের ভীড়ে হারিয়ে যায়। কিন্তু শুধুমাত্র মেয়েদের নিয়ে যে পেজ সেখানে দিলে সুবিধা বেশি হয়।

সিফাত হোসেন কাপড় এবং ড্রাই ফ্রুট এন্ড নাটস এসব নিয়ে কাজ করছেন।তিনি বলছিলেন, অর্গানিকভাবে আমার পেজ থেকে আগে কম অর্ডার পেতাম কিন্তু বিভিন্ন পেজের সদস্য হওয়ার পর আমার পরিচিতের বাইরে অনেকে অর্ডার করে। আমার পেজটা বুস্ট হয় এরপর থেকে।

ফেসবুকে এধরণের কতগুলো গ্রুপ রয়েছে এবং সেগুলোর মাধ্যমে কত টাকার ব্যবসা হচ্ছে সেটা সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ফেসবুকের এই গ্রুপগুলো অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য একটা মোক্ষম সুযোগ হয়ে উঠেছে যেটা অনেকেই হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না।

গ্রুপ এডমিনদের যে লাভ

‘উইমেন ইন ই কর্মাস’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের এডমিন আছিয়া নিলা। তিনি উইমেন ইন ডিজিটাল নামের আইটি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।তিনি বলছিলেন তাদের মূল উদ্দেশ্য ই-কর্মাস কে পরিচিত করে তোলা।

তিনি বলছিলেন উইমেন ইন ডিজিটালের কাজ করতে তিনি যখন গ্রামে গিয়েছেন তখন দেখেছেন মেয়েরা নানা ধরণের কাজ করছে কিন্তু টেকনোলজির জ্ঞান তাদের কম।

২০১৫ তে তিনি এই গ্রুপ তৈরি করেন। যাতে করে গ্রামের একেবারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা যুক্ত হতে পারেন।

নিলা বলছেন, যদি তার গ্রুপ থেকে কোন ক্রেতা বিদেশ থেকে অর্ডার করেন এবং বিক্রেতার সাথে যোগাযোগটা তারাই করিয়ে দেন তাহলে সেখান থেকে শতকরা হারে লাভের একটা অংশ তিনি নেন।

আবার অনেকে নিজেদের জীবনবৃত্তান্ত বা পোর্টফোলিওতে এখন অন্যান্য যোগ্যতার পাশাপাশি লেখেন তিনি একটি গ্রুপ পরিচালনা করেন । যেখানে সদস্য রয়েছে কয়েক হাজার।

আপনি আরও পড়তে পারেন