স্ত্রীর সম্মতিতে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে গ্রাহক ধরতেন স্বামী!

স্ত্রীর সম্মতিতে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে গ্রাহক ধরতেন স্বামী!

 

বাস্তবেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা বিশ্বাসযোগ্য না। সামাজিক অবক্ষয়ের কোন পর্যায়ে রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্ত্রী পরপুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, আর সেটি উপভোগ করছেন স্বামী। এখানেই শেষ না, ভিডিও এবং ছবিও তুলছেন তিনি। বিগত তিন মাসে ধরে ভারতের বেঙ্গালুরুর সিঙ্গাসান্দ্রা এলাকায় এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী। সেই খবর পেয়েই গত বুধবার ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে চমকে ওঠে পুলিশ। এসময় ঘর থেকে প্রচুর পর্ন ভিডিও, ফ্যান্টাসি মাস্ক, বেশ কয়েকটি মোবাইল, গ্রাহকদের নম্বর-সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসম গ্রেফতার করা হয় বিনয় কুমার ও তাঁর স্ত্রীকে। খবর-আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনয়ের একটি মুরগির খামার রয়েছে। তাঁর স্ত্রী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। পুলিশের কাছে বিনয়ের দাবি , জীবনকে অন্য রকম ভাবে উপভোগ করতেই নাকি তিনি এবং তাঁর স্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন পরপুরুষের সঙ্গে সময় কাটানোর। তার পর স্ত্রীর সহমতেই তাঁর নগ্ন এবং অর্ধনগ্ন ছবি নেটমাধ্যমে ছাড়া শুরু করেন বিনয়। টুইটারে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ‘গ্রাহক চাই’ বিজ্ঞাপন দেন তিনি। সেখানে স্ত্রীর একের পর এক লাস্যময়ী এবং নগ্ন ছবি পোস্ট করা শুরু করেন।

টুইটার অ্যাকাউন্টে বর্ণনা দিয়ে বিনয় লেখেন- ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী। বেঙ্গুলুরুতে থাকি। কেউ যদি আমার স্ত্রীর প্রতি আগ্রহী হন, তা হলে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করুন।’ শুধু ছবিই নয়, ভিডিও শেয়ার করে গ্রাহক টানার চেষ্টা করতেন তিনি। সেই বিজ্ঞাপন দেখে বিনয়ের বাড়িতে একের পর এক গ্রাহক আসতে শুরু করেন। তার পরই শুরু হত ‘শ্যুটিং’। স্ত্রীর সঙ্গে সেই গ্রাহক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। আর সেই ভিডিও করতেন বিনয়। তার পর সেগুলিও নেটমাধ্যমে ছাড়তেন। এই পর্ব চলার সময় বিনয়ের স্ত্রী, সেই গ্রাহক এবং বিনয় রঙিন মুখোশ পরে নিতেন।

আটকের পড় বিনয় পুলিশের কাছে আরও দাবি করেছেন, তাঁদের মাথায় এই পরিকল্পনা আসে পর্ন ছবি এবং নানা রকম পর্ন ভিডিও দেখে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এক টুইটার গ্রাহক বিনয়ের করা টুইট বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে ট্যাগ করার পর। তার পরেই ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার মহাদেব জোশীর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযুক্তের টেলিগ্রাম কথোপকথনের উপর নজরদারি শুরু হয়। সেখান থেকেই বিনয়ের বাড়ির ঠিকানা হাতে আসে পুলিশের। তার পরই অভিযান চালিয়ে বিনয় এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করে তারা।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন