১০ টি উপায়ে বাড়িয়ে তুলুন আপনার ইউটিউব ভিডিওর ভিউয়ার

১০ টি উপায়ে বাড়িয়ে তুলুন আপনার ইউটিউব ভিডিওর ভিউয়ার

একটি প্রশ্ন ভিডিও কিভাবে মন্টানাইজেশন করতে হবে? টাকা উঠাবো কিভাবে? কিংবা ইউটিউব ভিডিও এস ই ও করব কিভাবে?

প্রথমেই বলে নেই,  বাংলাদেশ থেকে কিভাবে ইউটিউব থেকে বেশি আয় করা যায়। যারা ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করেন এরকম অনেকের কাছেই জানতে চেয়েছিলাম, তারা কিভাবে করে; অনেকেই  শিখাতে চেয়েছে- কিভাবে আয় করা যায় ইউটিউব থেকে, আর এ জন্য মোটা অর্থ ও তারা দাবী করেছে।

আজ  আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ১০ টি উপায়, যা আপনি ঠিকমত ব্যবহার করতে পারলে অবশ্যই আপনার ভিডিওটির ভিউয়ার বাড়বে।

১. আপনার ভিডিওটির এস ই ও করুন

খেয়াল করুন আপনার ভিডিওর টাইটেল, বর্ণনা এবং ট্যাগ ঠিকমত আছে কিনা। অবশ্যই এগুলো কি ওয়ার্ড সার্চ করে পাওয়া যাবে এরকম কিছু ব্যবহার করুন। আপনার বর্ণনার মধ্যে অবশ্যই কি ওয়ার্ড ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন ভিডিওর এস ই ও হচ্ছে আপনার ভিডিওর ভিউয়ার বাড়ানোর সবচেয়ে বড় কৌশল। আপনার টাইটেলের মধ্যে সেই কি ওয়ার্ডটি ব্যবহার করেন যা কেউ সার্চ দিলে পেয়ে যাবে।

 

 

২. ভিডিওর একটি ভালো ছবি দিন

আপনি ভিডিওটি আপলোড করার পর ইউটিউব আপনাকে ৩টি ছবি নিজে থেকেই দিয়ে দিবে, আপনার ভিডিওর জন্য। সেই ৩টি ছবিতেই যদি আপনি কি বলতে চাচ্ছেন তাই থেকে থাকে তাহলে সেখান থেকে যেটি ভালো সেটি নির্বাচন করুন, আর যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই সেরকম একটি ছবি দিন যাতে আপনার পুরো ভিডিওটির কথা বলা থাকে। যেমন ধরুন আপনি একটি কার বিক্রি করার ভিডিও তৈরি করেছেন, তাহলে ভালো দেখে একটি কার এর ছবি আপলোড করুন, যেটা দেখে আপনার গ্রাহকরা আপনার ভিডিওটিতে ক্লিক করবে।

৩. ফেসবুক ব্যবহার করুন

কেউ মানেন আর না মানেন লিঙ্ক বিল্ডিং করার জন্য ফেসবুক হচ্ছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। আপনি যে ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করেছেন সেটা ফেসবুকে শেয়ার করুন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে আপনার ভিডিওটি প্রমোট করুন, ফেসবুক থেকেই পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ভিউয়ার। আপনার ফ্রেন্ড সংখ্যা যদি ৫০০০ হাজার এর মত হয়, তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন; আপনার এই ৫০০০ হাজার ফ্রেন্ড এর আরো ৫০০০ হাজার ফ্রেন্ড আছে, শুধুমাত্র আপনার একটি পোস্ট আপনার বন্ধু থেকে তার বন্ধু, তার বন্ধু থেকে তার বন্ধু এভাবে কয়েক হাজার লোক এর কাছে পৌছে যাবে আপনার ভিডিওটি।

৪. টুইট করতে কখনোই ভুলবেন না

ফেসবুক এর পাশাপাশি টুইটারও অনেক বড় মাধ্যম লিঙ্ক বিল্ডিং এর জন্য। আপনি আপনার টুইটার একাউন্টে ফোলোয়ার বাড়াতে থাকুন, যত ফলোয়ার বাড়বে, তত আপনার লাভ। আপনার চ্যানেলের প্রতিটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করতে থাকুন, আর সেগুলো আপনার ফলোয়ারের কাছে পৌছে যাবে। আর যত বেশি ফোলোয়ার তত বেশি ভিডিও ভিউ।

৫. কল টু একশন

অনেকে হয়ত এই বিশয়টি নাও বুঝতে পারেন, কিন্তু এই কাজটি করা সবচেয়ে সহজ। আপনি আপনার ভিডিওর শেষে আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করার জন্য ভিউয়ারকে আহ্বান করতে পারেন- ধরুন আপনার প্রোডাক্টই কার বিক্রি করা নিয়ে, তাহলে আপনি বলুন- নতুন নতুন কার এর খবর পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব করুন আমার চ্যানেল, আর পেতে থাকুন আমার নতুন গাড়ি নিয়ে আপকামিং ভিডিও। এতে করে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়বে, আর সাবস্ক্রাইবার বাড়লে বাড়বে আপনার ভিডিওটির ভিউয়ার।

৬. সময় ঠিক করুন

আপনি টিভিতে একটি নির্ধারিত সময়ে আপনার পছন্দের অনুষ্ঠান দেখে থাকেন; তাই না, সেরকম ইউটিউবে আপনার সাবস্ক্রাইবারাও একটি নির্ধারিত সময়ে অপেক্ষায় থাকে আপনার নতুন ভিডিওটি দেখার জন্য। এজন্য সব সময় চেষ্টা করবেন নির্ধারিত সময়ে আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে।

৭. আপনার চ্যানেলের জন্য একটি ওয়েব সাইট খুলুন

আপনার চ্যানেলে জন্য একটি ওয়েব সাইট খুলুন। ওয়েব সাইটে প্রতিদিন আপনার আপলোড করা ভিডিওগুলোর রিভিউ লিখুন। এতে করে আপনার ওয়েব সাইট এর ভিজিটর বাড়বে, আর এর সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে আপনার চ্যানেলের ভিউয়ার।

৮. চেষ্টা করুন নিউজ লেটার বানানোর

আপনার চ্যানেলের জন্য প্রতি সপ্তাহে একটি করে নিউজ লেটার বানানোর চেষ্টা করুন। ভালোভাবে ডিজাইন করে আপনার সাবস্ক্রাইবারদের কাছে পাঠিয়ে দিন আপনার তৈরি করা নিউজ লেটার। নিউজ লেটার পাঠানোর জন্য আপনার ওয়েব সাইটে একটি নিউজ লেটার সাবস্ক্রাই বাটন রাখুন। এখান থেকেই পেয়ে যাবেন আপনার অনেক সাবস্ক্রাইবার। যার ফলে বাড়বে আপনার চ্যানেলের ভিডিওর ভিউয়ার।

৯. আপনার ভিডিওর বিজ্ঞাপন দিন

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলোর বিজ্ঞাপন দেওয়ার চেষ্টা করুন। বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য গুগল এডওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এই একটি মাধ্যম যেখান থেকে আপনার ভিডিওতে প্রতিদিন টার্গেট ভিউয়ার আসবেই। ২ ডলার করে যদি আপনি আপনার ভিডিওটির বিজ্ঞাপন দেন তাহলে দিন শেষে আপনার ভিডিওটির ভিউয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০-১২০ টির মত, যেখান থেকে আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক পড়বে মিনিমাম ২০-৩০টি।

১০. চ্যানেলের একটি ট্রাইলার তৈরি করুন

সব শেষ কাজ হিসেবে যা করতে পারেন তা হল, চ্যানেলের একটি ট্রাইলার তৈরি করুন। আর এই ট্রাইলার এর মাধ্যমে জানিয়ে দিন আপনার চ্যানেলটি আসলে কি নিয়ে।

আশা করছি এই কাজগুলো ঠিকমত করতে পারলে অবশ্যই সফলতা আসবেই

পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

 

Most Popular Bangladeshi YouTube Channel : Click here 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন