বন্দরে স্কুল ছাত্রী সাদিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: ঘাতক আশিক ও আজিজুল গ্রেফতার

বন্দরে স্কুল ছাত্রী সাদিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: ঘাতক আশিক ও আজিজুল গ্রেফতার
Brandbazaarbd.com's photo.

বন্দরে প্রথম শ্রেণী ছাত্রী  সাদিয়া  আলতাফ ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ৪৬ (৬) ১৬। সিসি টিভি ফুটেজের মাধ্যমে খুনী আজিজুল (১৬) ও আশিকুর রহমান আকাশ (১৮) নামের দুই ইয়াবা সেবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২২ জুন বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিম কেওঢালা এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

 Posted by Asad Date: June 23, 2016 in: আঞ্চলিক সংবাদ, জাতীয়, নির্বাচিত, রাজনীতি, সারাদেশ Leave a comment Edit Brandbazaarbd.com's photo.

গ্রেফতারকৃত দুই মাদক সেবী পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা দায় স্বীকার করেছে। নারায়ণগঞ্জ এএসপি (এ সার্কেল) মাসুদ জানান, শিশু সাদিয়াকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে রাস্তা থেকে ডেকে  নিয়ে পাশ্ববতী একটি বালুর মাঠের পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে যায়। পরে মাদক সেবী দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। ঐ সময় শিশু সাদিয়া চিৎকার দিয়ে উঠলেই গলায় পেটিকোর্টের নেয়র দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। নিহত শিশু সাদিয়া পশ্চিম কেওঢালার নিকশা চালক আলতাফ হোসেনের মেয়ে। সে পশ্চিম কেওঢালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।

বন্দরে স্কুল ছাত্রী সাদিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা: ঘাতক আশিক ও আজিজুল গ্রেফতার

নিহতের মা শাহনাজ বেগম জানান,  বুধবার দুপুর  ২ টার দিকে কাপড় আনতে পাশের বাড়ি মতিন মেম্বারের বাড়িতে পাঠানো হয়। প্রায় এক ঘন্টার মধ্যে কাপড় নিয়ে বাড়িতে  ফিরে না আসায় সাবাইকে নিয়ে খোঁজা খুজি শুরু হয়। পরে ইফতারের আগে বাড়ির পাশে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে উলঙ্গ অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখ পান।

কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আনোয়ার হুসাইন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একটি পরিত্যাক্ত টিনের ঘরে পড়নের প্যান্ট  খোলা অবস্থায় শিশুটির লাশ  পড়ে রয়েছে। পরে  শত শত জনতার উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল কালাম জানান, দুই মাদক সেবী বন্ধু মিলে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভনে ঘরের ভেতরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণকারীদের চিনে ফেলেছে ও চিৎকার করেছে বলে শিশু সাদিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ঘাতকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ২৩ জুন বৃহস্পতিবার ৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দেয়ার জন্য  আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেফতারকৃত আজিজুল পশ্চিম কেওঢালা এলাকার বারেক মুন্সীর ছেলে, আশিকুর রহমান আকাশ একই উপজেলার ধামগড় ইউপির বালিবাগ চান্দের বাড়ি এলাকার সাইদুর ইসলামের ছেলে।

উপস্থিত সাংবাদিক সামনে মামলার বাদি নিহতের পিতা মো. আলতাফ হোসেন আলতু শিশু কন্যা সাদিয়ার হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ গ্রাম পশ্চিম কেওঢালা কবরস্থানে সাদিয়ার লাশ দাফন করা হয়। জানাযায় মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালামসহ উপস্থিত লোকজন শিশু সাদিয়া হত্যাকারীদের বিচারের কাঠ গড়ায় নিয়ে সর্ব্বোচ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment