প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ধর্মের নামে দেশে তরুণদের ব্রেইনওয়াশিং প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আজ তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ধর্মের বিষয়ে মিথ্যা দিয়ে আমাদের তরুণদের ব্রেইনওয়াশিং পাল্টানোর জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। এই কাজ করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে।
ঢাকা মহানগরীতে গুলশানের একটি কাফেতে শুক্রবার রাতের মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আজ তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ধর্মের বিষয়ে মিথ্যা দিয়ে আমাদের তরুণদের ব্রেইনওয়াশিং পাল্টানোর জন্য আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। এই কাজ করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে।
ঢাকা মহানগরীতে গুলশানের একটি কাফেতে শুক্রবার রাতের মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।
জয় বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে যে, এসব সন্ত্রাসী হচ্ছে শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। তাদের মতো আরো অনেকেই রয়েছে। তারা হতে পারে আপনার প্রতিবেশী, আত্মীয়, পুত্র। আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য সতর্ক থাকা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।
পোস্টের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা আরো লিখেছেন, কি লিখতে হবে তা নিয়ে আমি চিন্তা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমি কোন ভাষা খুঁজে পাইনি। এটি হচ্ছে একটি ভয়ানক জঘণ্য হামলা। এই হত্যাকারীরা মুসলমান নয়। সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই।
তিনি বলেন, এটি বিরক্তিকর যে কিছু লোক এখনও যথেষ্ট কিছু করছে না বলে আমাদের আওয়ামী সরকারকে দোষারোপ করছে।
‘আমরা গত তিন বছরে ব্লগার ও বিদেশীদের ওপর হামলাকারী প্রায় সকল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছি। বিগত সাত বছরে আমাদের সরকার প্রায় প্রতি মাসেই অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।
জয় উল্লেখ করেন যে, এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা এই ঘটনার মতোই হামলা। আমাদের সরকারকে ধন্যবাদ যে, তেমনটি ঘটেনি।
তিনি বলেন, সবসময় কেউ ১০০% সফল হতে পারে না। ‘এবার আমরা তাদের ধরতে পারিনি। আমাদের চেয়ে অনেক বেশী সম্পদশালী বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোতে এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
জয় আরো লিখেছেন, আমাদের বিদেশী অতিথিদের জন্য আতিথেয়তা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির একটি অন্যতম দিক। কিন্তু এসব সন্ত্রাসীরা তা বন্ধ করতে চায়। আমরা তাদেরকে সফল হতে দিবো না। বাংলাদেশ বরাবরই সকল মানুষ ও ধর্মের লোকদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাবে।
তিনি এই হামলার শিকার পরিবারগুলো বিশেষ করে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টাকালে প্রাণদানকারী সাহসী পুলিশ কমকর্তাদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।