বর্ষায়ও ধরে রাখুন চুলের সৌন্দর্য্য

বর্ষাকালের এই ঝুম বৃষ্টিতে মন চাইলেও আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে আমাদের বাইরে যেতেই হয়। বর্ষায় ঘরের বাইরে বের হলে চুলে বৃষ্টির পানি লাগবে এটাই স্বাভাবিক। এতে চুল তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য হারাতে পারে। আবার  এ সময় স্যাঁতসেতে আবহাওয়ায় চুল অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাই বৃষ্টির দিনে চুলের দরকার একটু বাড়তি যত্নের। অনেকেই আছেন যারা কাজের ব্যস্ততায় পার্লারে যাওয়ার সময় পাননা। তারা চুলের ধরণ বুঝে ঘরেই নিতে পারেন বাড়তি কিছু যত্ন। এতে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য বজায় থাকার পাশাপাশি চুল হয়ে উঠবে আরও ঝলমলে।

132222_11

জেনে নিন বর্ষায় চুলের যত্ন নেওয়ার বেশ কিছু টিপস-

* যাদের চুল তৈলাক্ত বৃষ্টির দিনে তাদের চুল আরো বেশি তৈলাক্ত দেখায়। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় চুল দেরি করে শুকায় বলে চুল নেতিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার পর পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে দিলে চুলে বিশেষ উজ্জ্বলতা আসবে। পাশাপাশি চুলের গোড়ায় ইনফেকশনও হবেনা, কমবে চুলকানিভাবও। এক্ষেত্রে চাইলে লেবুর পরিবর্তে ভিনেগারও ব্যবহার করতে পারেন।

* চুলে খুশকি থাকলে নিমপাতার পেস্ট করে এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ঘরে তৈরি এই প্যাক ব্যবহারে খুব দ্রুত উপকার পাবেন।

* চুল যদি নিস্তেজ ও প্রাণহীন হয়ে যায়, তাহলে পাকা পেঁপে হতে পারে এর ভালো সমাধান। খোসা ছাড়িয়ে পেঁপে ব্লেন্ড করে নিন। এর সঙ্গে আধা কাপ টক দই মিশিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টার জন্য। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

* চুল অনেকক্ষণ ধরে ভেজা থাকে বলে আঁচড়ানোর সময় অনেক চুল পড়ে। এক্ষেত্রে যাদের অনেক বেশি চুল পড়ে আর খুশকি সমস্যা আছে তাদের জন্য মেথি খুব উপকারী। সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভেজানো মেথি ভালো করে পেস্ট করে চুলে আধা ঘণ্টার জন্য লাগিয়ে রাখুন। চুল ধোয়ার পর পরিবর্তনটা নিজেই টের পাবেন।

* যাদের চুল পাতলা বর্ষা মৌসুমে তারা চুলের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন পাকা কলা দিয়ে। কলা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে এর সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ মেয়োনিজ ও ১ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন। প্যাকটি ৪৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

* বর্ষা মৌসুমে চুল এমনিতেই তেল তেলে হয়ে থাকে। তাই এ সময় চুলে খুব বেশি একটা তেল ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এ সময় সপ্তাহে ১ দিন শ্যাম্পু করার ২ ঘণ্টা আগে অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেলের সঙ্গে তিলের বীজ মিশিয়ে কুসুম গরম করে তুলোয় ভিজিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। এতে চুলের সৌন্দর্য্য ঠিক থাকবে।

* গাঁদা ফুল চুলের জন্য অনেক উপকারী। একটি বড় বাটিতে কুসুম গরম পানিতে তাজা গাঁদা ফুল ভিজিয়ে রেখে সেই পানি থেকে ফুলগুলো উঠিয়ে পানি ঘণ্টাখানিক আলাদা করে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুলে তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

* ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি চুলের জন্য একটি ভালো প্যাক তৈরি করা যায়। প্যাকটি কুসুম গরম করে চুলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। কিন্তু এই প্যাকটি চুলের গোড়ায় লাগানো যাবেনা। শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেখবেন চুল হয়ে উঠেছে আকর্ষণীয় ও সুন্দর।

* চুল ধোয়ার আগে পাকা আমের সঙ্গে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment