যশোরে ৩ ‘হিজবুত তাহরীর’ সদস্যের আত্মসমর্পণ

যশোরে ৩ ‘হিজবুত তাহরীর’ সদস্যের আত্মসমর্পণ

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ লাইনে খুলনা অঞ্চলের ডিআইজি মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে তারা আত্মসমর্পণ করেন। এরা হলেন- যশোর সদরের খোলাডাঙা গ্রামের মৃত শফিয়ার রহমানের ছেলে সাদ্দাম ইয়াসির সজল, আরবপুর ইউনিয়নের ধর্মতলা মোড়ের আব্দুস সালামের ছেলে রায়হান আহম্মেদ এবং খোলাডাঙ্গা কদমতলার এ কে এম সরাফতের ছেলে মেহেদী হাসান পাশা। এদের মধ্যে হিজবুত তাহরীরে সাদ্দাম ইয়াসির সজলের পদ ‘মোশরেক’ এবং অপর দুজনের পদ ‘সাবাব’ বলে জানান ডিআইজি মনিরুজ্জামান। আত্মসমর্পণের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি মনিরুজ্জামান বলেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চেয়ে পুলিশের তালিকাভুক্ত এই তিন জঙ্গি ‘বিশেষ মাধ্যমে’ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশের আইজিপির ঘোষণা শুনে এ তিনজনের অভিভাবকরা তার (সাহারুল) সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সন্তানদের আত্মসমর্পণের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন। এরপর তিনি পুলিশের সঙ্গে তাদের আত্মসমর্পণের বিষয়ে যোগাযোগ করেন বলে জানান।

যশোরে ৩ ‘হিজবুত তাহরীর’ সদস্যের আত্মসমর্পণ
আত্মসমর্পণকারী সজলের চাচা ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, টেলিভিশনে পুলিশ প্রধানের ঘোষণা শুনে সজল তার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের ইচ্ছার কথা জানান। সজল বলে- সে ভুল পথে জড়িয়ে গেছে, সেপথে আর থাকতে চায় না,” বলেন তরিকুল। এরপর তিনি (চাচা) বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান।
Jessore-photo-EDIT-2-.jpgযশোরের এসপি আনিসুর রহমান বলেন, বেলা দেড়টার দিকে পরিবারের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান সাহারুল ইসলামসহ এ তিন ‘জঙ্গি’ পুলিশ লাইনে এসে ডিআইজির উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের এখন জেলা পুলিশ লাইনের ভেতর ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান এসপি। এসপি আরও বলেন, যশোর কোতোয়ালি থানায় রায়হানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা আছে। ওই মামলায় অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়েছে। মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, দেড়বছর আগে ধর্মতলার একটি বাসা থেকে তানজিদ নামের হিজবুত তাহরীরের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং জঙ্গি সংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি, চিঠিপত্র ও একটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়। সে সময় তানজিদের সহযোগী হিসেবে রায়হানের নামও আসে। তাই রায়হানকেও ওই মামলার আসামি করা হয়।”অপর দুইজনের বিরুদ্ধে কোনো মামলার কথা তার জানা নেই বলে জানান।জঙ্গিবাদ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশপ্রধান এ কে এম শহীদুল হক।
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহত চার পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান উপলক্ষে বুধবার ঢাকায় পুলিশ সদরদপ্তরে তিনি বলেন, “যারা ভুল পথে গেছে, জঙ্গি পথে গেছে, তারা যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সহযোগিতা করবে। কোনো ডিস্টার্ব করবে না।”তবে ‘তারা’ অতীতে কোনো অপরাধ করেলে তাদের বিষয় ‘ভিন্ন’ বলে জানান আইজিপি

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment