মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই। অপারেটরটির জন্য বরাদ্দকৃত স্পেক্ট্রাম ওই সময়ে বাতিলে নির্দেশনা দিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর কাছে ইতোমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বিটিআরসি সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে।
টেলিযোগাযোগ বিভাগ শনিবার বিটিআরসিকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ঠিক ১২টা’র পর হতেই সিটিসেলের নেটওয়ার্ক আর থাকছে না। টেলিযোগাযোগ বিভাগের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে সিটিসেল বন্ধের প্রথম প্রক্রিয়া হিসেবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন অপারেটরটিকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছে। তবে সেই নোটিশ লাইসেন্স বাতিল সংক্রান্ত।
লাইসেন্স বাতিল কেন করা হবে না- এ বিষয়ে জবাব দিতে ধুকতে থাকা অপারেটরটিকে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার এ নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি।
কমিশনের লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে লাইসেন্স নবায়নের মধ্যেই শর্ত হিসেবে অপারেটরটির স্পেকট্রাম ফি, রেভিনিউ শেয়ারিংসহ আরও কিছু ফি দেওয়ার কথা।
দেশের প্রথম অপারেটরটি সেই শর্ত ভঙ্গ করায় সরকার কেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করবে না তা শেষ বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, তারা লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রীর এ ঘোষণার আগে অপারেটরটির গ্রাহকদের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বিকল্প সেবায় যেতে সময় বেধে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিআরসি।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, অপারেটরটির সেবা কার্যক্রম ২৩ আগস্ট থেকে বন্ধ হয়ে গেলেও লাইসেন্স বাতিলের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও কিছু দিন লাগবে।
গত ৩১ জুলাই বিটিআরসি সিটিসেলের কাছে সব মিলে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে উল্লেখ করে আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত গ্রাহকদের বিকল্প অপারেটেরে যেতে বলে দেয়