টাঙ্গাইলের মধুপুরে যৌতুকের দাবিতে সালমা (২২) নামের এক নববধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মধুপুর পৌর শহরের টেকি বেপারিপাড়ায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিতা সালমা টেকি বেপারিপাড়ার মৃত মনছুর বেপারির মেয়ে ও একই এলাকার খোরশেদ আলীর স্ত্রী।
জানা যায়, সালমা গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার একটি গার্মেন্টে কর্মরত ছিলেন। এসময় সালমা ও খোরশেদ আলীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খোরশেদ ও সালমা একসঙ্গে কোনাবাড়ী এলাকায় থাকতেন। বিয়ে ব্যতিত প্রেমিক প্রেমিকার এক সঙ্গে থাকার বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২৯ জুলাই তাদের বিয়ে দিয়ে দেয় এলাকাবাসী।
পরে খোরশেদের অভিভাবকরা তাদের বিয়ে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।
নির্যাতনের শিকার সালমার অভিযোগ করে বলেন, সমস্যা সমাধানের ১৫ দিনের মধ্যেই খোরশেদ আলীর পরিবারের সদস্যরা ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাকে চাপ দিতে থাকে। যৌতুকের এ টাকা পরিশোধ না করায় শনিবার সকালে সালমা শ্বশুরবাড়ি ঢুকতে গেলে প্রথমে তারা তাকে বাধা দেন।
এরপর সালমা বাড়িতে প্রবেশে চেষ্টা করায় তার স্বামীর বড় ভাই আজমত আলী, আজমতের স্ত্রী ইয়ারন, হাসমত আলী, হাসমতের স্ত্রী শিরিন, শাশুড়ি আছিয়া ও শ্বশুর সায়েদসহ অনেকে রাস্তার পাশে গাছে বেঁধে তাকে মারধর করে।
তবে এ বিষয়ে স্বামী খোরশেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন জানান, গাছে বাঁধা অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে সালমাকে তিনি উদ্ধার করেছেন। তবে সালমাকে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়টি তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।