বাঙ্গালীদের রান্না ঘরে রান্নার জন্য মরিচ অবশ্যই প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। মরিচের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল-
১. মরিচের বিভিন্ন ধরণের আকার ও আকৃতি রয়েছে। বিভিন্ন মরিচের স্বাদ বিভিন্ন রকম। কাঁচা মরিচ ও শুঁকনো মরিচের গুঁড়া সাধারণত বাঙ্গালীরা সব ধরণের খাবারে ব্যবহার করে থাকেন। কাঁচা মরিচ কাঁচা ও রান্না করা উভয় অবস্থাতেই অনেক মজাদার। তীব্র কটু মরিচ খাবার ফলে শরীরে চরম দুঃখ ও ঘামের সৃষ্টি হয়। যার ফলে শরীরের চামড়া দীর্ঘ, পাতলা ও মসৃণ হয়ে ওঠে।
২. মরিচ একটি সম্ভাব্য এবং ক্ষমতাশীল এন্টিবায়োটিক ছাড়াও স্বাস্থ্যের জন্য আরও অনেক বেশি উপকারী। মরিচের মধ্যে ‘কেপ্সাইচিন’ নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা মরিচকে তীব্র কটু করে তোলে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য একটি অনন্য সাধারণ গুণনীয়ক।
৩. ‘কেপ্সাইচিন’ নামক উপাদান যে খাদ্যের মধ্যে বিদ্যামান থাকবে, তা মরিচ বলেই গণ্য হবে। এটি একটি বেদনা নাশক উপাদান। বিভিন্ন ধরণের ব্যথানাশক মলম তৈরিতে কেপ্সাইচিন ব্যবহার করা হয়। ব্যথানাশের জন্য এটি মূলত প্রধান উপাদান।
৪. মরিচ পাচন প্রক্রিয়াতেও অনেক সাহায্য করে। মরিচ যখন মুখে চূর্ণ করা হয়, তখন মুখে লালা রস বর্ধিত হয়। যার ফলে প্রবাহ স্বাদ কুঁড়ির সৃষ্টি হয় এবং পাচন প্রক্রিয়ায় উন্নতি হয়। অল্প পরিমাণে মরিচ গ্রহণের ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও কমে যায়। অনেক সময় পেটে অতিরিক্ত খাদ্যের অনুভূতি হলে, মরিচ খেলে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
৫. আপনি যদি কখনও খুম অস্বস্তিবোধ করেন, তখন ঝাল কিছু খেয়ে দেখতে পারেন। এতে আমাদের শরীরের মাঝে এন্ডোরফিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে নিজের মাঝে ভাল অনুভূতির সৃষ্টি হয়। বৈজ্ঞানিক তথ্যমতে, স্নায়ুর সংবেদনশীলতার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
পরিশেষে বলা যায়, মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু, অধিক পরিমাণে মরিচ গ্রহণের ফলেও শরীরে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন- জ্বালাপোড়া, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই, ভালোর কম খাওয়া ভাল। তাই, অল্প পরিমাণে মরিচ অবশ্যই গ্রহণ করুন।