গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরে ঘটনার মূলহোতা কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী ২ সহযোগীসহ নিহত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় গোরস্থানের কাছে একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত হয় তারা। শনিবার (২৭ আগষ্ট) সকাল থেকে ‘হিট স্ট্রং-টোয়েন্টি সেভেন নামে সেখানে অভিযান চালায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদ অভিযান ও নিহতের বিষয়টি জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে পাইকপাড়া কবরস্থানের পাশে ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। এক ঘণ্টা প্রস্তুতির পর সকাল ৯টার দিকে অভিযান শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁরা বেশ কয়েকটি গাড়ি দেখতে পান। ওই গাড়িতে করে আসা সাদাপোশাকের পুলিশ এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেয়। পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকায় অবস্থিত একটি ভবন ঘিরে তারা তৎপরতা শুরু করে।
সকাল সাড়ে নয়টার পর ওই ভবনের কাছ থেকে প্রথম গুলির শব্দ শুনতে পায় এলাকাবাসী। এরপর থেকে থেমে গোলাগুলি শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।অভিযানের একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ লাইনস থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে আনা হয়। তারা পুরো এলাকা ঘিরে রাখে। এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি তামিম গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে পুলিশ দাবি করে আসছে। তিনি বাংলাদেশে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
গুলশান হামলার পর ঢাকার কল্যাণপুরে এই ধরনের এক অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হয়েছিল।