ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, যেকোন সময় কার্যকর

ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, যেকোন সময় কার্যকর

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির জল্লাদও প্রস্তুত রয়েছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ।

যদি প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন; তাহলে অপেক্ষা করতে হবে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের জন্য। আর যদি তা না চান তাহলে সুবিধাজনক সময়ে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করবে কর্তৃপক্ষ।–চ্যানেল আই।

কারা সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে সকালে শীর্ষ এ যুদ্ধাপরাধীর কাছে আরো একবার প্রাণভিক্ষার কথা বলেছেন কর্তৃপক্ষ। জবাবে তিনি আবারো সময় চেয়েছেন।আজ সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের তুলনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে কাসিমপুর কারাগারের সামনে। সাদা পোষাকেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও রয়েছে।

ফাঁসি কার্যকরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, যেকোন সময় কার্যকর

গতকাল বুধবার দুপুরে মীর কাসেমের পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে যান।সাক্ষাত শেষে তার স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, নিখোঁজ ছেলের খোঁজ পাওয়ার পর তার সঙ্গে পরামর্শ করে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মীর কাসেম আলী।এদিন সকালেই মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের তার রিভিউ খারিজ করে দেয়া রায় মীর কাসেম আলীকে পড়ে শোনানো হয়।

মঙ্গলবার সকালে তার রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। সেদিনই ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে রায় কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

 

জামায়াতের অন্যতম প্রধান অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ১০ টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে দুটি অভিযোগে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment