গত বছরের তুলনায় দেশে পশু উৎপাদন বাড়ায় কোরবানিতে পশু সঙ্কট হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। ফলে এবার দেশি গরুতেই মিটবে কোরবানির চাহিদা।
আসন্ন কোরবানি ঈদে দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানির পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক।
অবৈধ-ক্ষতিকর উপায়ে পশু মোটাতাজাকরণ রোধে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলেও জানান মন্ত্রী। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে গরু আমদানি হলে লোকসানে পড়ার আশঙ্কা খামারিদের।
সারা বছর দেশে যে পরিমাণ গবাদি পশুর চাহিদা থাকে, কোরবানি ঈদে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই এ মৌসুমকে লক্ষ্য রেখে খামারি ও কৃষকরা পশু লালন-পালন করে বছরের শুরু থেকে।
আর এখন শেষ মুহূর্তে খামারের পশুর যত্ন নিতে ব্যস্ত খামারিরা। একই সাথে উদ্বিগ্নও তারা। সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসলে লোকসানে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এছাড়া নিরাপদ গরু ও ছাগল উৎপাদন করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কৃষকদের বাড়ি ও খামারে গিয়ে তদারকি করছেন। এমনকি মনিটরিং টিমও থাকবে হাটগুলোতে বলেও জানান তিনি।
সরকারি হিসেব মতে, কোরবানির বাজারে দেশে ৪০ লাখ গরু, সাড়ে ২১ লাখ ছাগল ও দেড় লাখের মতো অন্যান্য পশু বিক্রি হয়।