আজ পবিত্র হজ, লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফার ময়দান

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক্’- লাখো কণ্ঠের এই ধ্বনিতে আজ মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফার ময়দান। বিঘোষিত হবে আল্লাহতায়ালার একত্ব ও মহত্ত্বের কথা। কাফনের কাপড়ের মতো সাদা দু’টুকরো ইহরামের কাপড় পড়ে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়বে সৌদি আরবে অবস্থানরত হজপালনকারীরা। আল্লাহতায়ালা এবং বান্দার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অনন্য আবহে বিরাজ করবে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃশ্য। হজের সব আনুষ্ঠানিকতা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার। সৌদি আরবের গ্র্যান্ড ইমাম হাজিদের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী জোহরের নামাজের আগেই হজের খুতবা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করবে। হজের খুতবা শোনা হজের অন্যতম বিধান। ১৯৮১ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবুদল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ হজের খুতবা দিয়ে আসছিলেন। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখনও ঠিক হয়নি কে হজের খুতবা প্রদান করবেন। গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম মুফতি সালিহ বিন হুমাইদ গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজের স্থালাভিষিক্ত হতে পারেন। অনেকে অবশ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার শায়খ সালিহ আল আশ শায়খ ও দুই পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সি চেয়ারম্যান গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসের নামও বলছেন। আরাফার ময়দানে অবস্থান প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুর রহমান বিন ইয়ামার আদ-দায়লি (রা.) হতে বর্ণিত আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাই তো হজ।’ ইমাম শাওকানি (রহ.) এ কথার ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফাতে অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট দিনে উক্ত ময়দানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য অর্জন করল তার হজ হয়ে গেল।’এএফপিসহ বিভিন্ন বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। মক্কা ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। অস্ত্রসজ্জিত যান নিয়ে রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। আকাশে চক্কর দিচ্ছে সামরিক হেলিকপ্টার। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়াসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবেলায় নিয়োজিত রাখা হয়েছে হাজার হাজার কর্মী। প্রস্তুত রয়েছে হাসপাতালগুলো। আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে দুপুরে হজের খুতবা দেওয়া হবে। এখানে খুতবার পর এক আজানে দুই ইকামতে জোহর ও আসরের কসরের (দুই রাকাত করে) নামাজ আদায় করবেন হজযাত্রীরা। এরপর হাজিরা আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করবেন। মুজদালিফাতেও খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন। সেখান থেকে জামারায় শয়তানকে মারার জন্য পাথর (কংকর) সংগ্রহ করে নেবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে হাজিরা আবার মিনায় ফিরবেন। মিনায় হাজিরা পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন, শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ ও ইহরাম ছাড়ার কাজগুলো সম্পন্ন করবেন। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে হাজিরা মিনায় গিয়ে ১০ জিলহজে কোরবানি করবেন এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটাবেন। এরপর মক্কায় পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। এই তাওয়াফের নাম তওয়াফে জিয়ারাহ। এর আগে সৌদি আরব গিয়েই হজযাত্রীরা প্রথমে একবার অবশ্যই পবিত্র কাবা ঘর তওয়াফ করেন। বিদায়ী তওয়াফ সেরে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ সেখানে অবস্থান করে প্রতিদিন তিন শয়তানকে পাথর মারবেন। এভাবে সম্পন্ন হবে হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে হজ পালন। জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করতে হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক্’- লাখো কণ্ঠের এই ধ্বনিতে আজ মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফার ময়দান। বিঘোষিত হবে আল্লাহতায়ালার একত্ব ও মহত্ত্বের কথা। কাফনের কাপড়ের মতো সাদা দু’টুকরো ইহরামের কাপড় পড়ে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়বে সৌদি আরবে অবস্থানরত হজপালনকারীরা। আল্লাহতায়ালা এবং বান্দার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অনন্য আবহে বিরাজ করবে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃশ্য।

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারিকা লাক্’- লাখো কণ্ঠের এই ধ্বনিতে আজ মুখরিত হয়ে উঠবে আরাফার ময়দান। বিঘোষিত হবে আল্লাহতায়ালার একত্ব ও মহত্ত্বের কথা। কাফনের কাপড়ের মতো সাদা দু’টুকরো ইহরামের কাপড় পড়ে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়বে সৌদি আরবে অবস্থানরত হজপালনকারীরা। আল্লাহতায়ালা এবং বান্দার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের অনন্য আবহে বিরাজ করবে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃশ্য। হজের সব আনুষ্ঠানিকতা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার। সৌদি আরবের গ্র্যান্ড ইমাম হাজিদের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী জোহরের নামাজের আগেই হজের খুতবা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করবে। হজের খুতবা শোনা হজের অন্যতম বিধান। ১৯৮১ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবুদল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ হজের খুতবা দিয়ে আসছিলেন। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখনও ঠিক হয়নি কে হজের খুতবা প্রদান করবেন। গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম মুফতি সালিহ বিন হুমাইদ গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজের স্থালাভিষিক্ত হতে পারেন। অনেকে অবশ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার শায়খ সালিহ আল আশ শায়খ ও দুই পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সি চেয়ারম্যান গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসের নামও বলছেন। আরাফার ময়দানে অবস্থান প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুর রহমান বিন ইয়ামার আদ-দায়লি (রা.) হতে বর্ণিত আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাই তো হজ।’ ইমাম শাওকানি (রহ.) এ কথার ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফাতে অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট দিনে উক্ত ময়দানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য অর্জন করল তার হজ হয়ে গেল।’এএফপিসহ বিভিন্ন বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। মক্কা ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। অস্ত্রসজ্জিত যান নিয়ে রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। আকাশে চক্কর দিচ্ছে সামরিক হেলিকপ্টার। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়াসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবেলায় নিয়োজিত রাখা হয়েছে হাজার হাজার কর্মী। প্রস্তুত রয়েছে হাসপাতালগুলো। আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে দুপুরে হজের খুতবা দেওয়া হবে। এখানে খুতবার পর এক আজানে দুই ইকামতে জোহর ও আসরের কসরের (দুই রাকাত করে) নামাজ আদায় করবেন হজযাত্রীরা। এরপর হাজিরা আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করবেন। মুজদালিফাতেও খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন। সেখান থেকে জামারায় শয়তানকে মারার জন্য পাথর (কংকর) সংগ্রহ করে নেবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে হাজিরা আবার মিনায় ফিরবেন। মিনায় হাজিরা পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন, শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ ও ইহরাম ছাড়ার কাজগুলো সম্পন্ন করবেন। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে হাজিরা মিনায় গিয়ে ১০ জিলহজে কোরবানি করবেন এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটাবেন। এরপর মক্কায় পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। এই তাওয়াফের নাম তওয়াফে জিয়ারাহ। এর আগে সৌদি আরব গিয়েই হজযাত্রীরা প্রথমে একবার অবশ্যই পবিত্র কাবা ঘর তওয়াফ করেন। বিদায়ী তওয়াফ সেরে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ সেখানে অবস্থান করে প্রতিদিন তিন শয়তানকে পাথর মারবেন। এভাবে সম্পন্ন হবে হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে হজ পালন। জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করতে হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

হজের সব আনুষ্ঠানিকতা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার। সৌদি আরবের গ্র্যান্ড ইমাম হাজিদের উদ্দেশে খুতবা প্রদান করবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী জোহরের নামাজের আগেই হজের খুতবা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করবে। হজের খুতবা শোনা হজের অন্যতম বিধান।

১৯৮১ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবুদল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খ হজের খুতবা দিয়ে আসছিলেন। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখনও ঠিক হয়নি কে হজের খুতবা প্রদান করবেন।

গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম মুফতি সালিহ বিন হুমাইদ গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজের স্থালাভিষিক্ত হতে পারেন। অনেকে অবশ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার শায়খ সালিহ আল আশ শায়খ ও দুই পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সি চেয়ারম্যান গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসের নামও বলছেন।

আরাফার ময়দানে অবস্থান প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুর রহমান বিন ইয়ামার আদ-দায়লি (রা.) হতে বর্ণিত আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আরাফাই তো হজ।’ ইমাম শাওকানি (রহ.) এ কথার ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফাতে অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট দিনে উক্ত ময়দানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য অর্জন করল তার হজ হয়ে গেল।’

এএফপিসহ বিভিন্ন বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। মক্কা ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। অস্ত্রসজ্জিত যান নিয়ে রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। আকাশে চক্কর দিচ্ছে সামরিক হেলিকপ্টার। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়াসহ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবেলায় নিয়োজিত রাখা হয়েছে হাজার হাজার কর্মী। প্রস্তুত রয়েছে হাসপাতালগুলো।

আরাফার ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে দুপুরে হজের খুতবা দেওয়া হবে। এখানে খুতবার পর এক আজানে দুই ইকামতে জোহর ও আসরের কসরের (দুই রাকাত করে) নামাজ আদায় করবেন হজযাত্রীরা।

এরপর হাজিরা আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করবেন। মুজদালিফাতেও খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন। সেখান থেকে জামারায় শয়তানকে মারার জন্য পাথর (কংকর) সংগ্রহ করে নেবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে হাজিরা আবার মিনায় ফিরবেন।

মিনায় হাজিরা পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন, শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ ও ইহরাম ছাড়ার কাজগুলো সম্পন্ন করবেন। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে হাজিরা মিনায় গিয়ে ১০ জিলহজে কোরবানি করবেন এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটাবেন। এরপর মক্কায় পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করবেন। এই তাওয়াফের নাম তওয়াফে জিয়ারাহ। এর আগে সৌদি আরব গিয়েই হজযাত্রীরা প্রথমে একবার অবশ্যই পবিত্র কাবা ঘর তওয়াফ করেন।

বিদায়ী তওয়াফ সেরে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ সেখানে অবস্থান করে প্রতিদিন তিন শয়তানকে পাথর মারবেন। এভাবে সম্পন্ন হবে হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা।

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে হজ পালন। জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করতে হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment