মিথ্যা ঢুকে পড়ল দাম্পত্যে?

মিথ্যা ঢুকে পড়ল দাম্পত্যে?


অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামলাতে সঙ্গীকে হয়তো কোনো এক মুহূর্তে মিথ্যা বলেছিলেন। সে সময় পরিস্থিতি সামলানো গেলেও পরে বাধল ঝামেলা। ছোট্ট একটি মিথ্যা দাম্পত্য সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করে।
আপনি হয়তো ভেবেছিলেন, এই মিথ্যা বলা তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি সামলে দেবে। অনেক সময় তা হয়ও। সে ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক কেমন, সেটি ভাবার বিষয়।
বিশ্বাস, ভালোবাসা ও গভীরতা থাকলে খুব বিপদে পড়লে এটি করা যেতে পারে। সঙ্গীর সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো থাকলে পরে বুঝিয়ে বললে তিনি অবশ্যই বুঝবেন।
আস্থাশীল না হলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। কোন প্রেক্ষাপটে গোপন করেছিলেন কথাটি, তা ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। নতুন করে আস্থা অর্জন করতে হবে। পুরো বিষয়টি স্বচ্ছ করে তুলতে হবে সঙ্গীর কাছে। এ ধরনের ছোট মিথ্যা বা গোপনীয়তা থেকে ভবিষ্যতে দাম্পত্যে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

মিথ্যা ঢুকে পড়ল দাম্পত্যে?
দাম্পত্য সম্পর্ক পুরোটাই বোঝাপড়া আর বিশ্বাসের। যেকোনো সম্পর্কে মিথ্যা ও গোপনীয়তা সন্দেহের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়।
সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরীন বলেন, ‘স্পর্শকাতর কোনো বিষয়ে মিথ্যা বলা বা ঘটনা লুকানো উচিত নয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে সব আপনার অনুকূলে থাকলেও এর ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। সন্দেহবাতিক সঙ্গী বা মনোবল না থাকা সঙ্গীর ক্ষেত্রে এসব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আবার সব খোলাখুলি আলোচনা করার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব সঙ্গীকে সব খুলে বলুন। সঙ্গী যদি কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখায়, তাহলে স্বাভাবিক হতে সময় দিন। অভিমান করলে কীভাবে তা ভাঙানো যায়, সেটি করুন।’

‘সে কেন বুঝল না?’, ‘আমাকে বিশ্বাস করল না?’, ‘ইচ্ছা করে এমন করিনি, তাকে কষ্ট না দেওয়ার জন্যই তো এমন কাজ করেছিলাম!’—এমন কথা মনে আসতে পারে। কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্কে মান-অভিমান হলে সেটি পুষে না রেখে একপক্ষকে সমঝোতা করতে এগিয়ে যেতে হবে। সঙ্গীর সঙ্গে জেদ করে বসে থাকা বোকামি। তাঁকে বলার সুযোগ দিন। তাঁর কথায় যুক্তি আছে কি না ভাবুন। সম্পর্কের এসব চড়াই-উতরাই অনেক সময় বন্ধনকে মজবুত করে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment