এ্যাড.সুলতান আহমেদ মৃধার সংবাদ সম্মেলন

এ্যাড.সুলতান আহমেদ মৃধার সংবাদ সম্মেলন

	 brand bazaar

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় গত ৬ ডিসেম্বর “সেই এমপির স্বামী সুলান মৃধা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা” ও এর পূর্বে ২৮ অক্টোবর “এমপির স্বামী বলে কথা” শিরোনামের সংবাদের প্রতিবাদে ৭ ডিসেম্বর-বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করনে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও দৈনিক পটুয়াখালী পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাড.মোঃ সুলতান আহমেদ মৃধা।

এ্যাড.সুলতান আহমেদ মৃধার সংবাদ সম্মেলন

তিনি জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ১৯৭৩ সালে পকসু’র নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেলে সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় থেকে মাস্টার্স এবং ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধীন ঢাকা সেন্ট্রাল “ল” কলেজ থেকে এলএলবি পাস করি এবং ১৯৯১ সালে পটুয়াখালীজেলা বারের সদস্য হয়ে আইন পেশা নিয়োজিত হই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। পটুয়াখালীতে রাজনীতির সাথে সক্রিয় থেকে আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হয়ে ১৯৯৩ সালে পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হই এবং দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করি। এ ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও জণগনের বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই এবং সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে জেলাব্যাপী খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হই। আপনারা জানেন, আমার চচাতো ভাই এবং শ্যালক ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম ২০১১ সালে পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন। আমার বড় ছেলে মাহামুদুর রহমান পলাশ দীর্ঘদিন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে ছাত্রসমাজের আস্থা অর্জন করে। ২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দীতায় বিজয় নিশ্চিত জেনে কতিপয় দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মাহামুদুর রহমান পলাশকে হত্যা করে।

আমার রাজনৈতিক ভূমিকা ও ক্যারিয়ার বিচার বিশ্লেষন করে বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে আমার সহধর্মীনি মিসেস লুৎফুন নেছাকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি নির্বাচিত করেন। তিনি স্বচ্ছতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক গত ২৮.১০.১৭ইং তারিখ আমাকে ও অঅমার সহধর্মীনিকে জড়িয়ে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘এমপির স্বামী বলে কথা’ শিরোনামে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ন ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করে। এ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়:প্রতিপন্ন এবং মানহানি করায় আমি বাংলাদেশ প্রতিদিন‘র সম্পাদক নাঈম নিজাম ও প্রতিবেদক রুহুল আমিন রাসেলের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর আদালতে ১০ কোটি টাকার একটি ক্ষতিপূরন মামলা দায়ের করেছি। মামলা নং-টাকা ০৭/১৭। এ মামলায় পটুয়াখালী বিজ্ঞ প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত মামলাটি গ্রহণ করেন এবং আগামি ১৮ জানুয়ারী-২০১৮ তারিখ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বিবাদীদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।

cctv camera

এ মামলা করায় আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মহলের ইন্ধনে ও অজ্ঞাত কারনে ০৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পুন:রায় ‘সেই এমপির স্বামী সুলতান মৃধা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ শিরোনাম দিয়ে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার শ্যালক ও চাচাতো ভাই প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম খোকন মৃধা সম্পর্কে মাদক ব্যবসা, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিষয়ে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সে আওয়ামী যুবলীগ পটুয়াখালী জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি এবং পুরান বাজার মসজিদ মাদ্রাসা কমপ্লেক্স এর ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সদস্য। তাকে নিয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা শুধু তাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা ছাড়া আর কিছুই না।

স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায়, স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীর মদদে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্তের কারনে মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মনে প্রানে লালন করে দেশ পরিচালনা করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করেন। আমি মুক্তিযুদ্ধকালিন আমার কাগজপত্র দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করলে ২০১২ সালে জামুকা কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে আমাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করে। যার সাময়িক সনদপত্র নং-১৮০৮৬৯।

তিনি সরজমিনে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা স্ব স্ব পত্রিকায় তুলে ধরার জন্য উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিন, আওয়ামীলীগ নেতা তাছিউর রহমান, জেল যুবলীগের সাবেক সভাপতি সরদার সোহরাব হোসেন, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকন মৃধা, জৈনকাঠী ইউনিয়নের প্যালেন চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান পলাশসহ আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment