রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উদ্ধার হওয়া তরুণীদের দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা চালানো হচ্ছিল বলে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া তিনজনের একজনের (১৮) বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলা, আরেকজনের (১৮) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা এবং অন্যজনের (২০) বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায়।
র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্প এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, উদ্ধার হওয়া তরুণীরা ঢাকায় একটি পোষাক কারখানায় চাকরি করতেন। চার বছর আগে নারী পাচারকারী চক্রের অজ্ঞাত এক সদস্য তাদেরকে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলভোন দেখিয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ফারজানা নামের এক সর্দানীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে দেয়।
এতে বলা হয়, এরপর থেকে ফারজানা তাদেরকে আটকে রেখে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও শারীরিক নির্যাতন করে তাদের দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক মো. রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে অভিযান চালিয়ে ওই তিন তরুণীকে তালাবদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসময় সর্দানী ফারজানা কৌশলে পালিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া তরুণীদের মধ্যে একজনকে তার অভিভাবকের কাছে ও দুইজনকে ফরিদপুরের সামাজিক প্রতিবন্ধি মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র হস্তান্তর করা হয়েছে।