কে হচ্ছেন চট্টগ্রামে মহিউদ্দিনের উত্তরসূরি?

কে হচ্ছেন চট্টগ্রামে মহিউদ্দিনের উত্তরসূরি?

নারায়ণগঞ্জে পাইরেসি চক্রের ২৩ সদস্য আটকচট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর চেয়ার এখন শূন্য। তবে এই চেয়ারে বসার যোগ্য উত্তরসূরি কে- এ নিয়ে তোড়জোর চলছে নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে। যদিও মুখে চেয়ারে বসার কথা না বলে শোকই বেশি প্রকাশ করছেন নেতারা।
কে হচ্ছেন চট্টগ্রামে মহিউদ্দিনের উত্তরসূরি?এরমধ্যে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সস্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে ঘিরে মহিউদ্দিন বলয়, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির একটি বলয় রয়েছে।

দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, এই তিনটি বলয়ে একাধিক নেতা রয়েছেন যাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত। এরমধ্যে খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু ও চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।

আর মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও নঈম উদ্দিন চৌধুরী হলেন সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। এছাড়া ডা. আফছারুল আমীন পৃথক মেরুতে থাকলেও মেয়র নাছিরকেন্দ্রিক তার অবস্থান। অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল আফছারুল আমীনের অনুসারী হলেও সাংগঠনিক কর্মসূচিতে তিনি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখেন। এর বাইরে মাঝখানে রয়েছেন মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।

নেতাকর্মীরা জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দাফনের পর রাতেই তার চশমা হিলের বাসভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন নগর আওয়ামী লীগের নেতারা। পরদিন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কর্মসূচিসহ পরবর্তী সাংগঠনিক কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব কে করবেন, সে বিষয়টি বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে।

নেতাদের তিন পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত সাংগঠনিক কর্মসূচিগুলোতে নয়জন সহসভাপতির মধ্যে যারা সক্রিয় এবং সভায় যারা আগে আসবেন, তাদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে একজন সভাপতিত্ব করবেন। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

তবে পরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতির চেয়ারে বসার বিষয়ে কেন্দ্রের ওপর ছেড়ে দিয়ে বৈঠক শেষ করেন নেতারা।

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক ওইদিন বৈঠকে অংশ নেন। তারা বলেন, শোকের মধ্যেও মহিউদ্দিন চৌধুরীর শূন্য চেয়ারে বসা নিয়ে নেতাদের তোড়জোর শুরু হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ঢাকাটাইমসকে বলেন, এসব নিয়ে এখন কথা বলার ইচ্ছা আমার নেই। আমাদের পুরো পরিবার শোকের মধ্যে সময় পার করছে। নেতাকর্মীরাও এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি।

নওফেল বলেন, তবে এটাই বলব, আমার বাবা ১৭ বছর চট্টগ্রামের মেয়র ছিলেন। দীর্ঘ একযুগ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। খালেদা-এরশাদবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের মাঠে তিনিই ছিলেন। নিজ দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। বন্দরসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি, চট্টগ্রামের স্বার্থের প্রশ্নে বারবার রাজপথে দাঁড়িয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment