আগামী ৯ জানুয়ারি চুড়ান্ত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জায়গা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান এতথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি একথা বলেন।
এছাড়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ নিয়ে কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি। ফারুক খান বলেন, বিমানবন্দরে প্রাইভেট হেলিকপ্টারের যে হ্যাঙ্গার রয়েছে, সেটা সরিয়ে নতুন করে হ্যাঙ্গার করতে হবে। এ কাজটি এখনো শুরু হয়নি। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে বেশ কিছু আইনি জটিলতাও রয়েছে। কমিটি আইনি জটিলতাগুলো দ্রুত সুরাহা করতে বলেছে।
তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের অনেক কাজ শেষ করতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। কমিটি তাদের সতর্ক হতে বলেছে। এ ছাড়া আগামী হজ মৌসুমে যাতে হজ ফ্লাইটে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সে জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা নিতে বলা হয়েছে।
ফারুক খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি নির্মাণের জন্য দুটি জায়গা বিবেচনায় আছে। আগামী ৯ জানুয়ারি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে। বৈঠকে জানানো হয়, এখন বাংলাদেশ বিমানবহরে ১৩টি উড়োজাহাজ আছে। এর মধ্যে ছয়টি উড়োজাহাজ নিজস্ব। বাকিগুলো ভাড়া করা। আগামী বছরের আগস্ট ও নভেম্বরে দুটি ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ এবং ২০১৯ অক্টোবর-নভেম্বরে আরও দুটি উড়োজাহাজ বিমানবহরে যুক্ত হবে।