সাভারে তিন পুলিশকে লাঞ্ছিত করায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ১ মাছ ব্যবসায়ী আটক

সাভারে তিন পুলিশকে লাঞ্ছিত করায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ১ মাছ ব্যবসায়ী আটক

সাভারে তিন পুলিশকে লাঞ্ছিত করেছে মাছ ব্যবসায়ীরা। এছাড়া তাদের শরীরের পুলিশের পোশাক টেনে হিচরে ছিড়ে ফেলে অস্ত্রও ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পুলিশ এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সাভার মডেল থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) খোরশেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলায় দিলখুশাবাগ এলাকার শহীদ হোসেনের পুত্র বিপুল হোসেনকে (৩৪) গ্রেপ্তার এবং কাশেম বিশ্বাসের পুত্র বি এম রুদ্র ওরফে শামীমকে (২৮) পলাতাক দেখানো হয়েছে।

সাভারে তিন পুলিশকে লাঞ্ছিত করায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ১ মাছ ব্যবসায়ী আটক

মামলার বাদী সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, মিলব্যারাক পুলিশ লাইনস’র এসএএফ-এর ৬ জন ও সাভার মডেল থানার ২ জন কনস্টেবল নিয়ে সোমবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টারদিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে জরুরী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ফুটপাতের অবৈধ দখলমুক্তকরণ ডিউটি করাকালীন দিলখুশাবাগ কাঁচাবাজারস্থ আবুল কাশেম বিশ্বাসের মাছের দোকানের সামনে ফুটপাতে মাছ ব্যবসায়ী বি এম রুদ্র ওরফে শামীম মাছের ড্রাম ও অন্যান্য মালামাল রেখে জনসাধারণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

তখন তাদের ড্রামসহ ওই মালামাল সরিয়ে নিতে বললে তারা অনিহা প্রকাশ করে। তখন মাছ ব্যবসায়ী বিপুল হোসেনসহ আরও ৪/৫ জন এসে শামীমের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী আচরণ করে। কনস্টেবল সাইমুল ও আল ইমরানকে এলোপাথারী মারধর করে পুলিশের পোশাক টেনে ছিড়ে ফেলে। একপর্যায়ে উপস্থিত পুলিশের অন্য সদস্যদেরও মারধরের চেষ্টা করে। এবং এসআই নাজমুল হোসেনের কোমরে থাকা সরকারী পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে ওই মাছ ব্যবসায়ীরা পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলে, তোদের এখানে ডিউটি করতে দিব না। ফুটপাত দখল করে দোকান করাসহ আমরা যা খুশি তাই করবো। বাড়াবাড়ি করলে তোদের বদলি করে দিয়ে চাকুরীর স্বাদ মিটিয়ে দিব।

এদিকে পুলিশের উপর হামলার খবর পেয়ে একাকি পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে মাছ ব্যবসায়ীদের রোষাণল থেকে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এবং ঘটনাস্থল থেকে মাছ ব্যবসায়ী বিপুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময়ে অন্যরা পালিয়ে যায়।

পরে আহত কনস্টেবল সাইমুল ও আল ইমরানকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এবিষয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, দুই পুলিশ আহত হয়েছে। একজন গ্রেপ্তার আছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment