৪-০’র আরো কাছে অস্ট্রেলিয়া

Brand Bazaar

৫-০ হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভেঙেছে। তবে এবারের অ্যাশেজটা ৪-০ করার সুযোগটা এখনো আছে অস্ট্রেলিয়ার। সেই পথেই এগোচ্ছে স্টিভ স্মিথের দল। সিডনিতে শেষ টেস্টে জয়ের সুবাস পাচ্ছে স্বাগতিকরা।
সিডনিতে আজ চতুর্থ দিনেও ছিল অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্য। দিনের শুরুটা হয়েছিল মার্শ ভাইয়ের সেঞ্চুরি দিয়ে সিডনির ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সিদ্ধ হয়েছেন ইংলিশ বোলাররা। ১৯৩ ওভার ব্যাটিংয়ের পর ইনিংস ঘোষণা করে তাদের ‘মুক্তি’ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তখন ম্যাচ বাঁচাতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে হবে ৯ ঘণ্টা। কিন্তু ৩০ মিনিটের মধ্যেই তারা হারিয়েছে দুই ওপেনারকে।
জয় থেকে ৬ উইকেট দূরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৩ রান। অস্ট্রেলিয়াকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে এখনো ২১০ রান করতে হবে ইংলিশদের। সফরকারীদের একমাত্র আশা জো রুটকে নিয়ে। দিন শেষে অধিনায়ক অপরাজিত আছেন ৪২ রানে। ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন জনি বেয়ারস্টো।
হতাশার সফরে শেষ ইনিংসে ভালো কিছু করার সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি মার্ক স্টোনম্যান ও জেমস ভিন্স। মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ৯ বল ডাক মেরেছেন স্টোনম্যান। প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে স্মিথকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ভিন্স করেছেন ১৮। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ২ উইকেটে ১৫!

দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে অ্যালিস্টার কুককে (১০) বোল্ড করেছেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লায়ন। পরে তিনি ফিরিয়েছেন ডেভিড মালানকেও। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়া মালান করেছেন ৫। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। তখন ৬৮ রানেই ইংল্যান্ডের ৪ উইকেট নেই। বেয়ারস্টোকে নিয়ে দিনের বাকি ১২ ওভার কাটিয়ে দেন রুট।এর আগে দিনের দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি সময়ে স্মিথ অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ঘোষণা করেন ৭ উইকেটে ৬৪৯ রানে। লিড তখন ৩০৩ রানের। বলের হিসাবে গত ২০ বছরে এটিই অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘতম টেস্ট ইনিংস (১১৫৮ বল)। ওপরের দিকের ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে শুধুমাত্র ক্যামেরন ব্যানক্রফট ফিফটি পার করতে পারেননি, ডাক মেরেছেন।তৃতীয় দিন শেষ শন মার্শ অপরাজিত ছিলেন ৯৮ রানে। আজ দিনের পঞ্চম বলেই মঈন আলীকে চার হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ৬৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা মিচেল মার্শ তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন প্রথম ঘণ্টার পরপরই। ২০০১ সালে স্টিভ ও মার্ক ওয়াহর পর টেস্টের একই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান ভাইদের সেঞ্চুরির কীর্তি এটি।মিচেল সেঞ্চুরির পরের বলেই ফিরেছেন ১০১ রান করে। দুই ভাই গড়েন ১৬৯ রানের বড় জুটি। এরপর টিম পাইনের সঙ্গে ৫২ রানের আরেকটি জুটি গড়েন শন। রান আউট হওয়ার আগে ১৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মার্শ ভাইদের বড় জন। স্টার্ক করেছেন ১১ রান। ইনিংস ঘোষণার আগে পাইন ৩৮ ও কামিন্স ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত লেগ স্পিনার ম্যাসন ক্রেইন ৪৮ ওভারে ১৯৩ রান দিয়ে পেয়েছেন একটি উইকেট। টেস্ট অভিষেকে কোনো ইংলিশ বোলারের সর্বোচ্চ রান দেওয়ার রেকর্ড এটি। ১৯৮৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ডেভন ম্যালকমের ১৬৬ রান ছিল আগের রেকর্ড। সব মিলিয়ে ক্রেইন আছেন তালিকায় পাঁচ নম্বরে। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সুরাজ রানদিভের দেওয়া ২২২ রান সর্বোচ্চ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment