ভোলার শশীভূষণ থানার ওসিকে প্রতাহারের নির্দেশ

ভোলার শশীভূষণ থানার ওসিকে প্রতাহারের নির্দেশ
সাখওয়াত হোসেন ইমন,ভোলা।।
চরফ্যাসনে আসামী রেখে স্বাক্ষী আবুল কাশেমকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। আজ ববুধবার চরফ্যাসন আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিচারক শিবলী নোমান খান চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদারকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত সুত্র এ সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। বাদী লোকমান হোসেন জানান, ২০১৫ সনে তিনি শশীভূষণ থানায় সিআর ৩২৪/১৫ ধানকাটার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা আদালতে চলমান আছে।
ভোলার শশীভূষণ থানার ওসিকে প্রতাহারের নির্দেশগত রবিবার সকালে শশীভূষণ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এসআই জাকির হোসন ওই মামলার ৩নং স্বাক্ষী আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে থানায় নেন। পরে তিনি এবং চরকলমী ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম থানায় গিয়ে আবুল কাশেমকে মামলার স্বাক্ষী বলে জানালেও শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তা শোনেন নি। তারা তাকে গতরবিবার আসামী হিসেবে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। আবুল কাশেমের শশুড় কদম আলী জানান, জেল হাজতে পাঠানোর পর তারা বিষয়টি আদালতকে অবগত করলে বিজ্ঞ আদালত গত মঙ্গলবার ভোলা জেল হাজত থেকে আবুল কাশেমকে চরফ্যাসন আদালতে এনে শুনানী শেষে মুক্তি দিয়েছেন। এজন্য তারা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বেঞ্চ সহকারি জানান, শশীভূষণ থানার ওসি হানিফ সিকদার এবং এসআইকে তলবের পর বিজ্ঞ আদালত বাদী, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য, ওসি ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)’র জবান বন্দি শুনে স্বাক্ষী আবুল কাশেমকে অব্যাহতি দিয়েছেন তবে পুলিশের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত তা পরে জানাবেন বলে জানান । আজ ববুধবার চরফ্যাসন আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিচারক শিবলী নোমান খান চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদারকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। শশীভূষণ থানার ওসি হানিফ সিকদার জানান, মামলায় আসামী এবং স্বাক্ষীর নামের মিল থাকায় এমনটি হয়েছে। এর বাহিরে আমার আর কোন বক্তব্য নাই।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment