স্ট্রিক-হাথুরুসিংহে চ্যালেঞ্জ দেখছেন না সুজন

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ছিলেন। হিথ স্ট্রিক ছিলেন পেস বোলিং কোচ। স্ট্রিক বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন অনেক আগেই। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন হাথুরুসিংহেও। ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার কোচ এখন হাথুরুসিংহে। আর জিম্বাবুয়ের কোচ হিথ স্ট্রিক। বাংলাদেশের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা সম্পর্কে তারা দুজন ভালোভাবেই অবগত। কিন্তু বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন না বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।

আজ মিরপুরে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সে রকম নয়। ক্রিকেট এখন আরো বেশি আধুনিক হচ্ছে। সব দলেরই স্কিল আছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো তা মাঠে প্রয়োগ করা। মাশরাফির যেমন একটা স্ট্রং জোন আছে, মোস্তাফিজ যেমন কাটারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, বিশেষ করে এই ফরম্যাটে। প্রত্যেকটা ছেলেরই এ রকম স্কিল আছে। আর হিথ স্ট্রিক যতোই জানুক; আর তারা আসলে গত দুই বছরে কতোটা উন্নতি করেছে; তা তো দেখেনি। আমি যেটা মনি করি যে, ধারাবাহিকতা ধরে রাখার যে কাজ, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে আপনাকে নিখুঁত হতে হবে। একই সাথে মাইন্ডসেট এবং প্রতিটি বলে মনোযোগ রাখা। সুতরাং কখন কী বল হবে বা কেমন প্রয়োগ হবে, আমি মনে করি সেটাই সবচেয়ে বড় জিনিস।’
দলের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পেসিফিক কিছু কাজের প্রতি নজর দিয়েছিলাম। আমরা বেশ ভালো প্রস্তুত। যে সব বিষয় নিয়ে কনসার্ন ছিল আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। ছেলেরাও সব কিছুতে সমর্থন করেছে, সবাই একাগ্র। আমরা যা করতে চেয়েছি, সেটা পেরেছি। যদিও প্রথম সপ্তাহটা আমাদের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনের উপরে ছিল। তারপর পেস বোলার নিয়ে ওই সময় কাজ করেছি। যেটা আমাদের কনসার্ন ছিল নতুন বলের বোলিংটা। উইকেট নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যেকোন ফরম্যাটে। বোলারদের সঙ্গে কাজ করে চেষ্টা করেছি যত টাইট আমরা রাখতে পারি লাইন এন্ড লেন্থ। নতুন একটা বছর, নতুন একটা সিরিজ আমাদের জন্য। আর আমরা তো ভালো করার জন্যই  ক‘দিন অনুশীলন করলাম। আমরা মনে করি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত। এই টুর্নামেন্টে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’মূলত দলের টেকনিক্যাল বিষয়, ভেরিয়েশন, স্লোয়ার, বাউন্স এসব নিয়ে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন সুজন, ‘মোর টেকনিক্যাল ছিল (কাজের বিষয়)। ভেরিয়েশনের ব্যাপার ছিল, স্লোয়ার, বাউন্সার সব কিছু নিয়েই কাজ করেছি। দুই একজন বোলারের স্যুয়িং নিয়ে কাজ করেছি। হয়তবা কাজটা আরও আগে থেকে করতে পারলে আরও ভাল হত। স্কিল তো সবার আছে, কিন্তু পরিস্থিতিতে কে কতটা কাজ করতে পারে ওটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশন যেহেতু একটু ডিফিকাল্ট। কুয়াশা পড়ছে, রাতের বল একটি কঠিন হয়। ওই সময়টা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক যে লেন্থে বল করি সকালে একরকম, সন্ধ্যায় আরেকরকম করতে হবে।’
পেসারদের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘স্পিন আমাদের শক্তির জায়গা। সেইসাথে পেস বোলাররা আমাদের জন্য চালিকা শক্তি। আমরা তো পাঁচজন স্পিনার নিয়ে খেলতে পারব না নিশ্চয়ই। তো পেস বোলিংটা অনেক গুরুত্বপূর্ন। পেস বোলিংয়ে আমাদের বৈচিত্র্য আছে। অভিজ্ঞ মাশরাফি লিড দিবে। যারা আছে সবাই ভিন্নরকমের বোলার। পেস বোলারদের থেকে আমাদের চাওয়ার আছে আসলে। হয়তোবা ছোট ছোট জায়গায় ভাল করেছি। কিন্তু ধারাবাহিকতার জায়গায় যদি বলেন ফাস্ট বোলাররা ভাল করেনি।’দলে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয় ও আবুল হাসান রাজু। তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন বলেন, ‘তারা দুজনেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল করেছে। রাজুর একটা কনসার্ন ছিল ফিটনেস নিয়ে। কিন্তু সে খুব ফিট এখন। তার ফিটনেস নিয়ে আমি খুশি। আর বিজয় তো দুই আড়াই বছর থেকে দারুণ খেলছে। সব ফরম্যাটেই ভাল করছে। ওদের পারফরম্যান্সই ওদের দলে নিয়ে এসেছে। আশা করি যে দুজনেই ভালোভাবে ফিরতে আসতে চাইবে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment