জয়ের পথে বাংলাদেশ

জয়ের পথে বাংলাদেশ

সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দেখছে বাংলাদেশ। ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে ছিলো লঙ্কানরা। তবে ২৬ তম ওভারে এসে সাকিবের পর পর দুই উইকেট শিকারের পর লড়াই থেকে এক অর্থে ছিটকে গেছে হাথুরুসিংহের শীষ্যরা।

বড় টার্গেটের বিপরীতে ৭ উইকেট হারানো লঙ্কানদের রান বাংলাদেশের রানের মাত্র এক-তৃতীয়াংশের মতো। জয়ের জন্য এখনো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে তাদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ৩২০/৭
শ্রীলঙ্কা ১২১/৭ (২৭.২), ধনঞ্জয়* ১ পেরেরা* ৮।

কাটারমাস্টারের কাটা পড়লেন ডিকওয়ালা, চাপে শ্রীলঙ্কা

নাসির, মাশরাফির পর এবার মোস্তাফিজ। নিজের চতুর্থ ওভারে তুলে নিলেন নিরোশান ডিকওয়েলাকে। মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হবার আগে এ ডানহাতি করেন ১৬ রান।

অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে পিচে যোগ দিয়েছেন অ্যাশলে গুনারত্নে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ৩২০/৭
শ্রীলঙ্কা ৮৮/৪ (২০), চান্দিমাল* ১৯, গুনারত্নে* ১।

এবার মাশরাফিতে কাটা পড়লেন মেন্ডিস

শুরুতেই একের পর এক আঘাত হেনে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। থারাঙ্গার পর এবার কুশাল মেন্ডিসকেও ফেরালেন অধিনায়ক মাশরাফি। ইনিংসের ১৪তম ওভারে মাশরাফির স্লোয়ারে কাটা পড়েন মেন্ডিস।

মিড অফে রুবেল হোসেনের তালুবন্দি হবার আগে মেন্ডিসের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।

তিন উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা লঙ্কানদের টেনে তোলার চেষ্টা করছেন নিরোশান ডিকওয়ালা। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ৩২০/৭
শ্রীলঙ্কা ৬৪/৩ (১৪), ডিকওয়ালা* ১১, চান্দিমাল* ১।

বিপজ্জন হয়ে ওঠার আগেই থারাঙ্গাকে ফেরালেন মাশরাফি

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রিভিউ নিয়ে বেচে গিয়েছিলেন। তবে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই উপল থারাঙ্গাকে ফেরালেন সেই মাশরাফিই।

মাশরাফির গুড লেন্থের বল সজোরে হাঁকিয়েছিলেন। তবে টাইমিংটা প্রত্যাশা অনুযায়ী পাননি। মিড অফে মাহমুদুল্লাহর হাতে ধরা পড়ার আগে লঙ্কান ওপেনার করেন ২৫ রান।

বড় টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ চাপে আছে লঙ্কানরা।

শুরুতেই নাসিরের আঘাত, চাপে শ্রীলঙ্কা

ব্যাটিংয়ে দাপট দেখানোর পর এবার বোলিংয়েও শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। শুরুতেই উইকেট তুলে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে লঙ্কানদের।

ব্যাট হাতে কোন রান করতে না পারলেও বল হাতে জ্বলে উঠেছেন নাসির হোসেন। ইনিংসের তৃতীয় এবং নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা কুশাল পেরেরাকে।

আরও একটি উইকেট অবশ্য ‘তুলে’ নিয়েছিলেন মাশরাফি। নিজের প্রথম ওভারেই থারাঙ্গাকে এলবিডবিল্লউ’র ফাঁদে ফেলেন ম্যাশ। আম্পায়ারও আঙুল তুলেছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান থারাঙ্গা।

হাথুরুবাহিনীকে বাংলাদেশের রানচাপা

অম্লমধুর বিদায়ের পর প্রথমবারের মতো হাথুরুসিংহের মুখোমুখি বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে নাস্তানাবুদ করা টাইগাররা এদিন যেনো আরও আত্মবিশ্বাসী।

তামিম, সাকিব আর মুশফিকের ফিফটিতে লঙ্কানদের সমনে রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। জিততে হলে ৩২১ রান করতে হবে চান্দিমালবাহিনী।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এনামুল হক বিজয়। ৩৫ রানে এনামুল ফিরে গেলেও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১১ হাজার রানের মাইলফলক পূরণ করা তামিম খেলেছেন ৮৪ রানের অসাধারণ ইনিংস। এরপর ৬৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে রানের চাকা সচল করেন সাকিব। অ্যাশলে গুনারাত্নের বলে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ফেরার আগে সব ফরম্যাট মিলিয়ে দশ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন এ বাঁহাতি। দুই বন্ধু ফিফটি করেছেন তবে বাদ থাকবেন কেন মুশফিক। ৫২ বলে ৬২ রান করে পেরেরার ইয়র্কারে কাটা পড়েন মুশি। তার আগে মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে আসে কার্যকরী ২৪ রান।

মাহমুদুল্লাহ মুশফিক ফেরার পর লোয়ার অর্ডারে রানের চাকাটা সেভাবে ঘোরাতে পারেনি। ৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মাশরাফি। কোন রান যোগ না করে প্রথম বলেই প্রদীপের বলে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন নাসির। তবে শেষ দিকে সাব্বিরের ১৩ বলে ২৪ রানে ভর করে ৩২০ রান করে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন অপরাজিত থাকেন ৬ বলে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment